লাইফস্টাইল

জ্বরের সঙ্গে সর্দি-খুসখুসে কাশি অ্যাডিনোভাইরাসে লক্ষণ নয় তো?

ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে মৌসুমী ফ্লুতে আক্রান্ত হন ছোট-বড় সবাই। আবার কোভিড ১৯ এর লক্ষণ হিসেবেও জ্বর, খুসখুসে কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা দেয়।

Advertisement

জানলে অবাক হবেন, শুধু কোভিড নয় আরও এক ভাইরাসের কারণে শরীরে এসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন: গলা ব্যথা ও খুসখুসে ভাব সারানোর ঘরোয়া উপায় 

তার নাম অ্যাডিনোভাইরাস। বয়স্ক ও শিশুদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে এই ভাইরাস। বড়দের ততটা কাবু করতে না পারলেও, তাদের থেকেও এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে শিশুদের শরীরে। ভারতে এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।

Advertisement

তাই জ্বর-সর্দি-কাশির সমস্যাকে অবহেলা করা যাবে না। তবে জ্বর হলেই যে আপনার শরীরে অ্যাডিনোভাইরাস বাসা বেঁধেছে, তা বুঝবেন কী করে? অ্যাডিনোভাইরাসের পরীক্ষা পদ্ধতি কী?

আরও পড়ুন: কাঁচা মরিচেই সারবে খুসখুসে কাশি, যেভাবে খাবেন

এ বিষয়ে ভারতের চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী জানান, কোভিডে যেমন নাক ও গলা থেকে লালারস সংগ্রহ করে কোভিড পরীক্ষা করা হয়, অ্যাডিনোভাইরাসের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি মেনে চলা হয়।

লালারসের নমুনার পলিমারেজ চেন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) পদ্ধতিতে ভাইরাসের উপস্থিতি যাচাই করা হয়।

Advertisement

এর চিকিৎসা কী?

চিকিৎসকের মতে, কিছুটা সংক্রমণ ঠেকাতে উচ্চ মাত্রার কিছু অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। তবে তা দিয়েও আয়ত্তে সব সময় আনা যায় না সংক্রমণ।

আরও পড়ুন: প্রচণ্ড কাশি হচ্ছে? ফুসফুসের ক্যানসার নয় তো! 

অতীতে এই ভাইরাসের কারণে শ্বাসকষ্ট বা পেটের সমস্যা দেখা দিত, সঙ্গে জ্বর। তবে এবার সাপোর্টিভ ট্রিটমেন্ট ছাড়া নাকি কিছু কাজও করছে না। অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার ইত্যাদিও ভাইরাসের চরিত্র বদলের জন্য অনেকাংশেই দায়ী।

সাধারণত আক্রান্ত হওয়ার ২ দিন থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যেই শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। বায়ুবাহিত অ্যাডিনোভাইরাস সাধারণত চোখ, অন্ত্র, মূত্রনালি ও স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে।

এই ভাইরাসের আক্রমণ ঘটলে একটুও সময় নষ্ট করা উচিত নয়। যত তাড়তাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করার পক্ষপাতী বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

জেএমএস/জিকেএস