তথ্যপ্রযুক্তি

হাইটেক পার্ক হবে আগামী দিনের প্রধান চালিকাশক্তি: পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, হাইটেক পার্ক হবে আগামী দিনের প্রধান চালিকাশক্তি। দেশের হাইটেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগসহ আইসিটি খাতে আগামী দিনে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ ও জাপান।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) অনলাইনে এক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ ওয়েবিনারে অংশ নেন।

বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর যেসব দেশ দ্রুত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল জাপান এর মধ্যে অন্যতম। স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পর থেকেই জাপান বাংলাদেশের একক উন্নয়ন সহযোগী। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ওয়েবিনারে যোগদানকারী প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম। পরিচিতি পর্বের পর তিনি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতির চিত্র ও ক্রমবিকাশমান আইসিটি ইন্ডাস্ট্রিতে দু’দেশের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিশেষকরে বাংলাদেশের হাইটেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন।

Advertisement

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বাংলাদেশে টেকসই হাইটেক ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম নির্মাণের এখনই উপযুক্ত সময়। যেখানে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। কোভিড-১৯ পরবর্তী বৈশ্বিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে শ্রম-নির্ভর অর্থনীতি যথেষ্ট নয়। চলমান পরিস্থিতিতে যেসব দেশ জ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পের বিকাশে মনোনিবেশ করছে তারাই এফডিআই (সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ) আকৃষ্ট করতে সমর্থ্য হবে। এ বাস্তবতা উপলব্ধি করে, প্রযুক্তিভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নে শুরু থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী, ফলে গ্লোবাল ইকোনমিতে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। সরকার এরইমধ্যে শিক্ষা-স্বস্থ্য-যোগাযোগ-আইসিটিসহ বিভিন্ন সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশ টেক-অব করার পর্যায়ে অবস্থান করছে। কোনো দেশের উন্নয়নে সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ নয়। দক্ষ জনশক্তি, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, ইনোভেটিভ আইডিয়া ও এক্সিলারেশন অত্যন্ত প্রয়োজন। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কাউকে মডেল হিসেবে নয় বাংলাদেশকেই অন্য দেশ মডেল হিসেবে নেবে।

ওয়েবিনারে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাস, বিজেআইটি, জেট্রোর প্রতিনিধিরা যুক্ত ছিলেন।

এইচএস/এমএএইচ/জিকেএস

Advertisement