লাইফস্টাইল

বিয়েতে বেনারসি ছাড়াও পরতে পারেন যেসব শাড়ি

বিয়ের পোশাক নিয়ে সব নারীর মনেই নিজস্ব পরিকল্পনা থাকে। কারও শখ হয়তো বিয়েতে শাড়ি পরার, আবার কারও শখ লেহেঙ্গার। বর্তমানে বিয়ের সাজ-পোশাকে এসেছে অনেক ভিন্নতা।

Advertisement

এখন বিয়েতে শুধু বেনারসির চল নেই, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নানা ধরনের শাড়ি। যার মধ্যে আছে বালুচরি, জামদানি, কাঞ্চিপুরাম ইত্যাদি।

বেনারসি শাড়ি স্বভাবতই বেশ ভারি হয়, অনেকেই ক্যারি করতে পারেন না এ ধরনের শাড়ি। তারা চাইলে জামদানি বা কাঞ্চিপুরাম পরতে পারেন বিয়েতে।

এতে আপনাকে আরও ভিন্ন ও আকর্ষণীয় লাগবে। জেনে নিন আরও কোন কোন শাড়ি বিয়েতে পরতে পারেন-

Advertisement

বালুচরি

বালুচরি সিল্ক শাড়ির চাহিদা অনেক। এই শাড়ির বিশ্বেষত্ব হলো ছবি, কল্কা, পাড় ও বুটি। ইন্ডিয়ান এই শাড়ির ঐতিহ্য বেশ পুরোনো।

এ ধরনের শাড়ির আঁচলে সুতার নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয় নানা কাহিনি, চিত্র বা প্রাকৃতিক দৃশ্য। ডিজাইন ও রংভেদে এই শাড়ির দাম ১৫-২০ হাজার বা তার বেশিও তে পারে।

জামদানি

Advertisement

জামদানি ভালোবাসেন না এমন বাঙালি নারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বর্তমানে বিয়ের জন্য অনেকেই ডিজাইনার জামদানির শাড়ি পরেন। নকশা, বুনন ও ঐতিহ্যের মিশেলে তৈরি এই শাড়ির চাহিদা আছে সব নারীর কাছেই। এই শাড়ির প্রচলন ঘটে কিন্তু ঢাকা শহরেই। এ কারণেই এটি ঢাকাই জামদানি নামেও পরিচিত। বর্তমানে জামদানির ডিজাইনে যেমন কিছুটা ভিন্নতা এসেছে, আবার নতুন অনেক রংও যোগ হয়েছে জামদানি শাড়ির তালিকায়।

বর্তমান ফ্যাশনে হালকা রঙের জামদানির চাহিদা বেড়েছে। এর সঙ্গে শাড়িতে জরি সুতোর কাজ বেশি আকর্ষণ করে সবাইকে। সুতার কাউন্টভেদে একটি জামদানি শাড়ির দাম ১৫০০ থেকে শুরু করে লাখ টাকা পর্যন্তও হতে পারে।

কাঞ্চিপুরাম

চওড়া জরির পাড় ও ভেতরে জরির কাজ করা এই শাড়ির উৎপত্তি ঘটে ভারতের দক্ষিণে অর্থাৎ তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরাম অঞ্চলে। এ কারণেই শাড়ির নাম রাখা হয়েছে কাঞ্চিপুরাম।

উজ্জ্বল, ভারি ও আকর্ষণীয় এই শাড়িরগুলো দেশে এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেখতে অনেক গর্জিয়াস হলেও এই শাড়িগুলো কিন্তু বেনারসির মতো ততটও ভারি নয়।

আবার এর কুচিগুলো সমান হয়ে পড়ে থাকে। নকশাভেদে এই শাড়িগুলোর দাম গড়াতে পারে ২-২০ হাজার পর্যন্ত।

স্বর্ণচরি

বালুচরি ও স্বর্ণচরি দুটো শাড়ি একই পদ্ধতিতে তৈরি হয়। এর মূল পার্থক্য হলো বালুচরিতে সুতার কাজ থাকে আর স্বর্ণচরিতে সোনালি জরির কাজ থাকে বেশি।

বউভাতের অনুষ্ঠানে এই শাড়ির চল বেশি। নকশাভেদে স্বর্ণচরির একেকটি শাড়ি ১০ থেকে ৪০ হাজার পর্যন্ত দাম উঠতে পারে।

অরগ্যানজা

বর্তমানে অরগ্যানজা পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। কামিজ, গাউ, থ্রি-পিস, কুর্তি, ওড়না, শাড়ি সবেতেই অরগ্যানজা কাপড় মন ভুলাচ্ছে নারীদের। সাম্প্রতিক বিয়েতে অনেক বলিউউ অভিনেত্রীরাও পেরেছেন আকর্ষণীয় অরগ্যানজা শাড়ি।

যারা বিয়েতে একটু হালকা রং বেছে নিতে চান কিংবা জাকজকমতার আড়ালে স্নিগ্ধ সাজে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে চান, তাদের জন্য অরগ্যানজা শাড়ি হতে পারে সেরা।

চাইলে আপনিও বিয়েতে আলিয়া ভাটের মতো আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারেন অরগ্যানজা শাড়িতে। ডিজাইন ও কোয়ালিটিভেদে অরগ্যানজা শাড়ির দাম গড়াতে পারে ৪-৫০ হাজার পর্যন্ত।

জেএমএস/এমএস