ধর্ম

বনি ইসরাইলের ঘটনা নবুয়তের সত্যতার প্রমাণ

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি রিসালাতের দায়িত্ব অর্পিত হওয়ার পর তিনি নবুয়তের ঘোষণা দেন এবং আল্লাহর দ্বীনের প্রচার-প্রসারে দাওয়াতী কাজ শুরু করেন। ইসলাম বিদ্বেষীরা তখনই ইসলামের সত্যতার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণসহ নানা প্রকার অপপ্রচার শুরু করে। আল্লাহ তাআলা এ সব অপপ্রচারে জবাবে কুরআনে পূর্ববর্তী যুগের ইতিহাস তুলে ধরেন। যা নবুয়তের সত্যতা প্রমাণে বিস্ময়করভাবে কাজে আসে। যা ইমাম রাজি রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাফসিরে উল্লেখ করেছেন-

Advertisement

১. বনি ইসরাইলের যাবতীয় ঘটনাবলী প্রমাণ করে উম্মাতে মুহাম্মাদি সর্বোত্তম জাতি। কারণ, তাঁদের সকল নবি-রাসুলগণ সুস্পষ্ট দলিল-প্রমাণ এবং অলৌকিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করানোর পরও তাদেরকে আল্লাহ ও তাঁর নবি-রাসুলদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করাতে পারেনি। অথচ পবিত্র কুরআনুল কারিম নাজিল হওয়ার পর কুরআনের ভাষা ও দাওয়াত শ্রবনেই উম্মাতে মুহাম্মাদি তাঁকে (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও কুরআনকে শ্রেষ্ঠ নিয়ামাত রূপে গ্রহণ করেছে।

২. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়াতে কোনো শিক্ষকের কাছে কোনো বিষয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেননি। এমনকি তিনি বই-পুঁথিও পাঠক করতে পারতেন না। এখন প্রশ্ন হলো- তাহলে তিনি কিভাবে বনি ইসরাইলের পূর্ব-পুরুষদের এ সকল সত্য ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ পেশ করেছেন? এটিও নবুয়তের সত্যতার অন্যতম প্রকৃষ্ট প্রমাণ। যা আল্লাহ তাআলা অহির মাধ্যমে বিশ্বনবীকে জানিয়েছেন।

ইসলামের আগমনে ইয়াহুদি, খ্রিস্টান, নাসারাদের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুলের প্রতি ঈমান তথা বিশ্বাস স্থাপনের সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল। কিন্তু বদ নসীব এ জাতির লোকেরা সুযোগের সদ্ব্যবহার করেনি। বরং উল্টো ইসলামের বিদ্বেষ পোষণে শক্তি-সামর্থ ও অর্থ ব্যয় করে ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।

Advertisement

আল্লাহ তাআলা বর্তমান সময়ের সকল ইসলাম বিদ্বেষীদেরকে কুরআন বুঝার এবং নবুয়তের সত্যতা অনুধাবন করার তাওফিক দান করুন। উম্মাতে মুসলিমাকে ইসলামের সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এবিএস