গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, রেল এখন লুটপাটের প্রধান লক্ষ। যেখানে ক্রয় বিক্রয় বেশি সেখানে লুটপাটও বেশি। রেলকে ক্রয় বিক্রয়ের অংশ বানিয়ে লুটপাট চলছে।বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ভাড়া বৃদ্ধি না করে বরং ভাড়া কমানোর দাবিতে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি’র রেলপথ বিষয়ক উপ-কমিটির আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, রেলের সংস্কারের জন্য আমাদের কথাগুলো সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের লোকজনদের কানে পৌঁছায় না। জনগণকে রেলের উন্নতি ও সম্পসারণ আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে হবে।জোনায়েদ সাকি বলেন, যোগাযোগের অধিকার এখন মৌলিক অধিকারের একটি। সেই যোগাযোগ খাতে রেলকে আড়ালে রেখে সড়ক পথে উন্নয়ন ঘটিয়ে যোগাযোগ নিরাপদ ও সাশ্রয়ী করা সম্ভব না।যেকোনো দেশের উন্নতির জন্য প্রয়োজন রেলের সম্প্রসারণ ও উন্নতি। বাংলাদেশের সমষ্টিগত উন্নতির জন্য রেলের উন্নতি দরকার। কারণ রেল সড়ক পথের চেয়ে বেশি সাশ্রয়ী ও নিরাপদ। কিন্তু বাংলাদেশে রেল এখন ক্রয় আর বিক্রয়ের স্থলে পরিণত হয়েছে। যেখানে ক্রয় বিক্রয় বেশি সেখানে দুর্নীতিও বেশি।বিশ্বব্যাপী জ্বালানী খরচ ও তেলের দাম যেখানে কমেছে সেখানে বাংলাদেশে বেড়েছে। জ্বালানী খরচ কমা স্বত্ত্বেও সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে রেলের ভাড়া বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে। কোনো ভাবে ভাড়া না বাড়িয়ে বরং ভাড়া কমানো উচিত বলেও দাবি করেন তিনি।এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি’র মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর আনু মোহাম্মদ বলেন, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, বাসদের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, রেলপথ বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি আব্দুল হক।জেইউ/এআরএস
Advertisement