ধর্ম

উম্মতের জন্য নবিজীর ভালোবাসা ও দোয়া

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। এমনকি সব নামাজে তিনি উম্মতের জন্য দোয়া করতেন। যার প্রমাণ মেলে হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার এক হাদিসে। তিনি উম্মতের সবার জন্য দোয়া করতেন। কী দোয়া করতেন তিনি?

Advertisement

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের জন্য প্রত্যেক নামাজে এমন দোয়া করতেন; যে দোয়ার কথা একবার শুনেই হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান! হাদিসে পাকে এসেছে-হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, একদিন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মনে আনন্দ দেখে বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমার জন্য দোয়া করুন।’ তখন তিনি (নবিজী) বললেন-اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِعَائِشَةَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنَبِهَا وَمَا تَأَخَّرَ مَا أَسَرَّتْ وَمَا أَعْلَنَتْউচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাগফির লি-আয়েশাতা মা তাকাদ্দামা মিন জামবি ওয়া মা তাআখখারা মা আসাররাত ওয়া মা আলানাত।’অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আয়েশার আগের ও পরের, গোপন এবং প্রকাশ্য সব গুনাহ ক্ষমা করে দিন।’

তখন হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হেসে দিলেন। এমনকি হাসতে হাসতে নবিজীর কোলে তাঁর মাথা পড়ে গেলো। তখন তিনি (নবিজী) বললেন- ‘আমার দোয়া কি তোমাকে আনন্দ দিয়েছে?

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, ‘আপনার দোয়া আমাকে কেন আনন্দ দেবে না?’ তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-وَاللَّهِ إِنَّهَا لَدُعَائِي لِأُمَّتِي فِي كل صلاة‘আমার উম্মতের জন্য প্রত্যেক নামাজেই আমার এমন দোয়া থাকে।’ (ইবনে হিব্বান)

Advertisement

এ হাদিস থেকে প্রমাণিত যে, উম্মতের জন্য নবিজীর ভালোবাসা ছিল তুলনাহীন। কারণ তিনি সব উম্মতের জন্য তার আগের-পরের এবং প্রকাশ্য ও গোপন সব গুনাহ মাফের জন্য দোয়া করতেন। উম্মতের জন্য যে নবির এত অগাধ ভালোবাসা ছিল, সে নবির প্রতি মুসলিম উম্মাহর ভালোবাসা কতটুকু? নবিজীর প্রতি উম্মতের ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত?

নবিজী নিজেই হাদিসের এক বিশুদ্ধ বর্ণনায় বিষয়টি এভাবে তুলে ধরেছেন। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-‘তোমাদের কেউ ততক্ষণ পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার বাবা-মা, তার সন্তান ও সব মানুষের চেয়ে বেশি প্রিয় হবো।’ (বুখারি)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা। নবিজীর অপমানে হৃদয় থেকে সর্বোচ্চ প্রতিবাদ করা। ঈমানের দাবি পূরণে উল্লেখিত হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহ হাদিসের উপর আমল করে নবিজীকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Advertisement

এমএমএস/এমএস