ধর্ম

যে খাবার ও উপার্জন সর্বোত্তম

বাঁচার তাগিদে খাবার ও উপার্জনের বিকল্প নেই। নিজের শ্রমে অর্জিত খাবার যেমন সেরা তেমনি কষ্টে অর্জিত উপার্জনও সেরা। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের বর্ণনায় তা সুস্পষ্টভাবে ওঠে এসেছে যে, কোন খাবার উত্তম আর কোন উপার্জন উত্তম।

Advertisement

নিজ উপার্জনের টাকায় কেনা খাবারই সর্বোত্তম। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন-

১. উত্তম আয়-উপার্জনহজরত রাফে ইবনে খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, সর্বোত্তম আয়-উপার্জন কোনটি? জবাবে নবিজী বলেন, ব্যক্তির নিজ শ্রমে অর্জিত উপার্জন ও সততার ভিত্তিতে ক্রয়-বিক্রয়।’ (মুসনাদে আহামদ)

২. উত্তম খাবারহজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আহার হিসেবে নিজের (শ্রমের আয়) উপার্জনের (টাকায় কেনা) খাবারই সর্বোত্তম। আর তোমাদের সন্তানদের আয়-উপার্জনও তোমাদের আয়-উপার্জনের মধ্যে গণ্য।’ (আবু দাউদ)

Advertisement

রিজিক তালাশের গুরুত্বহালাল রিজিক তালাশের গুরুত্ব অনেক বেশি। ফরজ ইবাদতের পরই হালাল রিজিকের তালাশ করার তাগিদ এসেছে কোরআনে। আল্লাহ তাআলা জুমার নামাজ আদায় করার পর পর জমিনে আল্লাহর অনুগ্রহ (রিজিক) তালাশে নেমে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন এভাবে-فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِن فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيراً لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَএরপর নামাজ শেষ হলে তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (রিজিক) তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমআ : আয়াত ১০)

উত্তম রিজিক পাওয়ার দোয়ানামাজ পড়েই রিজিকের সন্ধানে জমিনে বিচরণের নির্দেশ দিয়েছেন মহান আল্লাহ। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে উত্তম রিজিকের জন্য আল্লাহর কাছে এ দোয়া পড়ে বের হওয়ার কথা বলেছেন। হাদিসে এসেছে-اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَسْئَلُكَ مِنْ فَضْلِكَউচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা।’অর্থ : ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে উত্তম রিজিক প্রার্থনা করছি।’

মানুষ সাধারণত মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় এ দোয়াটি পড়ে থাকেন; এটি মূলত উত্তম রিজিক পাওয়ার দোয়া।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, উত্তম খাবার ও উত্তম উপার্জনের জন্য হাদিসের উপদেশ মেনে চলা। কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আয়-উপার্জন ও রিজিকের সন্ধান করা। হালাল উপার্জন ও হালাল খাবার খাওয়া। কেননা হালাল উপার্জন ও হালাল খাবারই ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত।

Advertisement

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হালাল উপার্জন ও হালাল খাবার খাওয়ার তাওফিক দান করুন। কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা মোতাবেক সঠিক শ্রম ও উত্তম খাবার খাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস