ধর্ম

রোজাদারের যত পুরস্কার

রোজাদারের যত পুরস্কার

রোজাদারের প্রতিদান আল্লাহ দেবেনরোজাদারের প্রতিদান আল্লাহ নিজ হাতে দেবেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘বনি আদমের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যই। শুধু সওম ব্যতীত; তা আমার জন্য। আমি নিজেই তার পুরস্কার দেব।’ (সহিহ বোখারি : ৫৯২৭)।

Advertisement

রোজাদারের জন্য জান্নাতে স্পেশাল গেটরোজাদারের জন্য জান্নাতে স্পেশাল গেট থাকবে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতের একটি প্রবেশদ্বার রয়েছে, যার নাম রাইয়ান। কেয়ামতের দিন ওই দরোজা দিয়ে সিয়াম পালনকারীরা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউই ওই দরোজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। সিয়াম পালনকারীরা প্রবিষ্ট হয়ে গেলে দরোজা বন্ধ করা হবে। ফলে সেই দরোজা দিয়ে আর কেউই প্রবেশ করবে না।’ (সহিহ বোখারি : ১৮৯৬)।

রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ মিশক আম্বরের চেয়ে প্রিয়রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশক আম্বরের চেয়েও অধিক প্রিয়। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ওই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার জীবন, সাওম পালনকারীর মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহতায়ালার কাছে মিশকের সুগন্ধি থেকে বেশি পছন্দনীয়। (সুনানে নাসায়ি : ২২১৩)।

রোজাদারের দুটি আনন্দঘন মুহূর্তরোজাদারের জন্য দুটি আনন্দময় মুহূর্ত রয়েছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘সিয়াম পালনকারীর জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে। একটি হলো, যখন সে ইফতার করে, তখন আনন্দিত হয়; অপরটি হলো, যখন সে মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, তখন সে আনন্দিত হবে।’ (সহিহ মুসলিম : ২৫৯৮)।

Advertisement

রোজাদার শয়তানের আক্রমণ থেকে নিরাপদরোজাদার শয়তানের আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘রোজা (সব ধরনের অশ্লিল ও মন্দ কাজের) ঢালস্বরূপ।’ (সহিহ বোখারি : ১৯০৪)।

রোজা স্বয়ং রোজাদারের জন্য সুপারিশকারীকেয়ামতের দিন রোজা স্বয়ং রোজাদারের জন্য সুপারিশ করবে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কেয়ামতের দিন সিয়াম এবং কোরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে।’ সিয়াম বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি তাকে পানাহার ও যৌনকর্ম থেকে বিরত রেখেছিলাম। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। আর কোরআন বলবে, ‘আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছিলাম। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন।’ নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘অতএব, এদের উভয়ের সুপারিশ গৃহীত হবে।’ (মুসনাদে আহমদ : ৬৬২৬)।

রোজার মাধ্যমে আগের সব গোনাহ মাফরোজা রাখার মাধ্যমে আগের সব গোনাহ মাফ হয়ে যায়। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমজানে সিয়াম পালন করবে, তার অতীতের সব গোনাহ মাফ করা হবে।’ (সহিহ বোখারি : ১৯০১)।

মুনশি/এসইউ/জেআইএম

Advertisement