একুশে বইমেলা

আশা করছি বইমেলার সময় বাড়বে: সাদাত হোসাইন

সময়ের আলোচিত লেখক ও নির্মাতা সাদাত হোসাইন। এ পর্যন্ত তার ২৪টি বই প্রকাশ হয়েছে। সবগুলো বই-ই পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে বইমেলায় প্রকাশনীর স্টলে ব্যস্ত সময় কাটে তার। অটোগ্রাফ আর ফটোগ্রাফের ভিড়ে কথা বলাই কঠিন। তারপরও শত ব্যস্ততাকে কাটিয়ে কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কথাশিল্পী ও সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন মাহমুদ—

Advertisement

জাগো নিউজ: এবারের বইমেলায় পাঠক আপনার কয়টি নতুন বই পাচ্ছে?সাদাত হোসাইন: দুটি। একটি ‘ইতি স্মৃতিগন্ধা’। যেটি প্রথমবারের মতো আমার লেখা কোনো সিক্যুয়ালের দ্বিতীয় বা শেষ খণ্ড। এর প্রথম খণ্ড ‘স্মৃতিগন্ধা’ গত বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল। অন্যধারা প্রকাশ করেছে বইটি। আরেকটি ‘প্রিয়তম অসুখ সে’। উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে ‘অন্যপ্রকাশ’।

জাগো নিউজ: করোনা আক্রান্ত সময়ে বইমেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?সাদাত হোসাইন: আমার মনে হয় পরিবর্তিত এই ‘নিউ নরমাল’ পরিস্থিতির সঙ্গেই আমাদের বাঁচতে হবে, খাপ খাইয়ে নিতে হবে। তা ছাড়া করোনা সংক্রমণ যেহেতু এখন নিম্নগামী এবং গতবছরের বইমেলার বাস্তবতা, ক্ষতি বিবেচনায় বইমেলা চলতেই পারে। শুধু তাই-ই নয়, বইমেলার সময়ও বৃদ্ধি করা উচিত। আশা করছি সঙ্গত কারণেই বইমেলার সময় বাড়বে।

জাগো নিউজ: টিকিট কেটে বইমেলায় প্রবেশের একটি দাবি উঠেছিল, বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?সাদাত হোসাইন: এটিকে আমি সমর্থন করি না। বাংলাদেশের মানুষ যতটা বাণিজ্যমেলায় আগ্রহী, তার সিকিভাগও বইমেলায় নয়। ফলে চেষ্টা করতে হবে মানুষের আগ্রহ যাতে আরও বাড়ে, সেই চেষ্টা করার। টিকিট করলে বরং মেলায় যাওয়ার আগ্রহই অনেকের কমে যাবে।

Advertisement

জাগো নিউজ: গত বইমেলায় আপনি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, সে সময়ের অভিজ্ঞতা যদি বলতেন—সাদাত হোসাইন: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। শারীরিক অসুস্থতা তো ছিলই। তবে বইমেলায় যেতে পারছি না, এ মানসিক যন্ত্রণার অনুভূতি অভাবনীয়।

জাগো নিউজ: পাঠক-লেখকের সম্পর্ক গড়ে তোলার উপায় কী বলে মনে করেন?সাদাত হোসাইন: মানুষের গভীরতম অনুভূতি লেখার মধ্য দিয়ে প্রতিবিম্বিত করা, স্পর্শ করা। এটাই সবচেয়ে বড় উপায়। এর বাইরে শক্তিশালী সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে বইয়ের সর্বোচ্চ প্রচার।

জাগো নিউজ: পাঠকের চাহিদাকে গুরুত্ব দেবেন, নাকি লেখক নিজের মতো লিখবেন? সাদাত হোসাইন: লেখক নিজের জন্য যা লেখেন, তা যখন প্রকাশ করেন বা করতে চান; তখন তা এমনিতেই পাঠকের জন্য হয়ে যায়। আবার আপনারা যেটিকে পাঠকের জন্য লেখার কথা বলছেন, সেটি একটা বোঝাবুঝির সীমাবদ্ধতা মনে হয় আমার কাছে। লেখক যার জন্য, যা-ই লিখুন না কেন, তাকে সেই লেখা, লেখার চরিত্র, বিষয় অতি অবশ্যই অনুভব করে তারপর লিখতে হয়। ফলে এ দুটোকে আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।

জাগো নিউজ: আপনার পাঠকদের জন্য যে কথাটি বারবার বলতে চান— সাদাত হোসাইন: আমি সব পাঠকের উদ্দেশ্যেই বলতে চাই, বই পড়ুন। বইয়ের চেয়ে অন্তরঙ্গ বন্ধু আর নেই।

Advertisement

এসইউ/এএসএম