টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জননী জাহানারা ইমাম হলে ভূমিকম্পে ফাটল দেখা দেয়ায় আতঙ্কে রয়েছে হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর শুক্রবারই সকল শিক্ষার্থী হল ছেড়ে চলে গেছে।বুধবার (১৩ জানুয়ারি) পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুয়েট থেকে বিশেষজ্ঞ দল পরীক্ষা করার পর এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন বলেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম হলে মোট চারশ ছাত্রী থাকেন। গত সোমবার ভোরে সারাদেশের মতো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতেও ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভুত হয়। ওইদিন ফাটল দেখা না গেলেও পরের দিনে সকালে দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে সামান্য ফাটল দেখা দেয়।এসময় হলের ছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে ক্রমেই তা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে হলটির একটি মেঝে দেবে গেলে ছাত্রীরা বেশি অতঙ্কিত হয়। হলটির দুপাশে দুটি পুকুর থাকায় ফাটলের ব্যাপকতা আরো বাড়তে পারে।বিষয়টি জানার পর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির সভাপতিত্বে বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকদের নিয়ে দুপুরে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময়ে অনুষ্ঠিতব্য সকল পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। আগামী ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় যথারীতি ক্লাস চলবে বলেও জানানো হয় সভা থেকে।জাহানারা ইমাম হলের ইনচার্জ রেশমা পারভিন লিমা বলেন, বিশ্ববিদ্যায় বন্ধ ঘোষণার পর হলটি ছেড়ে সব ছাত্রীই চলে গেছে। বর্তমানে হলটির প্রতিটি রুম তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বুয়েট থেকে বিশেষজ্ঞ টিম আসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।বিএ
Advertisement