মানুষের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুইটি অঙ্গ। কেউ একই অঙ্গ দিয়ে সাওয়াবের পাহাড় গড়ে। আবার কেউ গড়ে পাপের পাহাড়। কেউ পায় তাঁর রবের নৈকট্য; কেউ কামায় ক্রোধ। সেই অঙ্গ দুইটি কী? আর এ সম্পর্কে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও বা কী ঘোষণা দিয়েছেন?
Advertisement
মানুষের গুরুত্বপূর্ণ এ দুইটি অঙ্গ হলো জিহ্বা ও লজ্জাস্থান। যার যথাযথ ব্যবহারে কেউ পায় মুক্তির পথ, জান্নাতের সুঘ্রাণ। আবার কেউ এর যথাযথ ব্যবহার করতে না পারলে ডুবে যাবে গোমরাহীর অতল গভীরে, জাহান্নামের জলন্ত অগ্নিতে।
একটু চিন্তা করলেই বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়ে যায়-
সাধারণ চিন্তা-ভাবনার অভাবে কিংবা ক্ষমতার দাপটে অথবা যৌবনের তাড়নায় যদিও কেউ এ দুইটি অঙ্গের অপপ্রয়োগ করে, তবে তা মুহূর্তের মধ্যেই তার দুনিয়া ও পরকালকে বরবাদ করে দিতে পারে।
Advertisement
পক্ষান্তরে কেউ যদি জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের যথাযথ হেফাজত করতে সক্ষম হয় কিংবা সঠিকভাবে জিম্মাদারি পালন করতে পারে তবে তা উভয় জগতের মুক্তির অন্যতম উপায়। এমনকি তাদের জন্য জান্নাতের জিম্মাদার হওয়া ঘোষণাও দিয়েছেন স্বয়ং নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি সেন্সেটিভ অর্গান সম্পর্কে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যারা কমন সেন্স বজায় রেখে এ দুইটি অঙ্গের যথাযথ হেফাজত করবে তিনি তাদের জান্নাতের জিম্মাদার হবেন। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত সাহল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজের জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের জিম্মাদার হবে (সঠিক ব্যবহার করবে); আমি তার জান্নাতের জিম্মাদার হবো।’ (বুখারি)
ক্ষমতা মানুষের চিরস্থায়ী নয়; আবার শরীরের শক্তি ও দাপটও স্থায়ী হয় না। চতুল কথার ঝিলিকও সব সময় থাকে না। সময়ের ব্যবধানে ক্ষমতার দাপট-দাম্ভিকতায় ও কথা জাদু একদিন অসাড় হয়ে যাবে। যৌবনের রঙেও জং ধরে শেষ হয়ে যাবে। তবুও আমরা বুঝতে চাই না। ডুবে থাকি রঙ্গিন মোহে।
Advertisement
এখন সিদ্ধান্ত প্রতিটি মানুষের! তারা কি জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের অপব্যবহার করবে না কি এর সঠিক ব্যবহার করবে?
ইসলামের সৌন্দর্য কতই না মধুময়। জিহ্বা দ্বারা হাসিমুখে কথা বলায় রয়েছে যেমন সাদাকার সাওয়াব। তেমনি লজ্জাস্থানের যথাযথ ব্যবহারে স্বামী-স্ত্রী একান্তে সময় কাটানোও অন্যতম সাদাকাহ। সুতরাং ক্ষমতার দাপট নয়; যৌবনের উম্মাদনা নয়; ফিরে যাই জান্নাতের সুশীতল ছায়ার দিকে। যেখানের জিম্মাদার হওয়ার জন্য প্রস্তুত প্রিয় নবি।
আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার প্রতিটি মানুষকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ দুইটি অঙ্গ জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের হেফাজত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস