দেশজুড়ে

দাউদকান্দিতে মেয়র পদে স্বামী-স্ত্রীর মনোনয়নপত্র দাখিল

হাইকোর্টের এক আদেশের প্রেক্ষিতে এবং নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন দাউদকান্দি পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ জাহান মিয়া এবং তার স্ত্রী নাজমা বেগম। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. ফারুক হোসেন ওই দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন।জানা যায়, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে গত ৩ ডিসেম্বর শাহজাহান মিয়া ও তার স্ত্রীর মনোনয়নপত্র রিটার্নিং অফিসার গ্রহণ করেননি এমনই অভিযোগে পরদিন ওই দম্পতি পৃথকভাবে হাইকোর্টে রিট এবং নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন উভয়ের আপিল খারিজ করে দিলেও গত ১০ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এক আদেশে শাহজাহান মিয়া ও তার স্ত্রীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশন এবং কুমিল্লা জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের আদেশের চিঠি নিয়ে দম্পতি ওই মেয়র প্রার্থী দ্বয়ের নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরে দৌঁড়ঝাপ করলেও আদেশ বাস্তবায়ন করতে অতিবাহিত হয়ে যায় আরও ১২ দিন। এ বিষয়ে রাত ৯টায় সেল ফোনে মেয়র প্রার্থী  শাহজাহান মিয়া জানান, উচ্চ আদালতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে নির্বাচন কমিশন ও জেলা প্রশাসন আমার মূল্যবান ১২টি দিন শেষ করে ফেলেছে, তাই এই অল্প সময়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে, তাই নির্বাচন স্থগিত করে তারিখ বর্ধিত করার জন্য তিনি উচ্চ আদালতে যেতে পারেন বলেও জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. ফারুক হোসেন সেল ফোনে জানান, উচ্চ আদালতের আদেশ এবং নির্বাচনের কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে ওই ২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার তাদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে কমিশনের নির্দেশ পেলে তাৎক্ষণিকভাবেই প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হতে পারে। তিনি আরো জানান, নির্বাচন পেছানোর সম্ভাবনা আপাতত নেই, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনই বলতে পারবে।উল্লেখ্য, বর্তমানে মেয়র পদে ওই পৌরসভায় আওয়ামী লীগের নাঈম ইউছুফ সেইন, বিএনপির কেএম আই খলিল, বিএনপির বিদ্রোহী নুরুল আমিন সরকার (নাঈম) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জালাল উদ্দিন নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় রয়েছেন। নতুন আরও ২ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হলে ভোটযুদ্ধে নামতে হবে ৬ প্রার্থীকে। কামাল উদ্দিন/এমএএস/আরআইপি

Advertisement