তথ্যপ্রযুক্তি

ডেটাবার্ড লঞ্চপ্যাডে ৬ উদ্ভাবনী আইডিয়ার জয়

দেশের বৃহত্তম ও শীর্ষস্থানীয় ইন্টারনেট গ্রুপ ডেটাবার্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য অনলাইন ভ্রমণ, বাংলা কী বোর্ড, সংবাদ, ই-রিডার এবং লাইফস্টাইল মোবাইল অ্যাপ সম্বলিত একটি ইন্টারনেট ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে।

Advertisement

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডেটাবার্ড লঞ্চপ্যাড ২০২১ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালেতে ৬টি উদ্ভাবনী আইডিয়া বিজয়ী হয়েছে। ডেটাবার্ড লঞ্চপ্যাড প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানে তরুণ উদ্ভাবকদের সাহায্যকারী অনন্য একটি প্ল্যাটফর্ম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়া ভবিষ্যৎ তরুণ উদ্ভাবকদের সমর্থনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. সাজ্জাদ হুসেইন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মো. খুরশিদ আলম, এলআইসিটি পলিসি অ্যাডভাইজর সামি আহমেদ, ডেটাবার্ডের সিইও কাশেফ রহমান এবং ডেটাবার্ডের সিসিও সাদিয়া হক। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটোরিয়ামে গ্র্যান্ড ফিনালেটি অনুষ্ঠিত হয়।

চলতি বছরের জুলাইয়ে ডেটাবার্ড লঞ্চপ্যাড ২০২১ যাত্রা শুরু করে। প্রযুক্তিগত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান প্রদানকারী তরুণ উদ্ভাবকদের জন্য এটি অনন্য একটি প্ল্যাটফর্ম। ২৩ জন নারী উদ্যোক্তাসহ দেশজুড়ে ১০০০ জন উদ্ভাবকদের ৩৫০টিরও বেশি দল এতে অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল সমস্যা সমধানের জন্য তাদের আইডিয়াগুলো উপস্থাপন করে। ইন্ডাস্ট্রিগুলোর মধ্যে রয়েছে এডুটেক, ফিনটেক, হেলথটেক, সাস, ট্রাভেল, এগ্রো, ব্লকচেইন, মার্কেটপ্লেস, এআর, ভিআর ও আইওটি উল্লেখযোগ্য।

Advertisement

প্রতিযোগীরা দুটি বিভাগে অংশগ্রহণ করেছিলেন স্টুডেন্ট এবং প্রফেশনাল ট্র্যাক। রেজিস্ট্রেশন, আইডিয়া ও প্রজেক্ট সাবমিশন, স্ক্রিনিং টেস্ট এবং ফাইনাল প্রেজেন্টেশন ইত্যাদি রাউন্ডে প্রতিযোগিতাটি বিভক্ত ছিল। সব শেষে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বিজ্ঞ বিচারকমণ্ডলী সেরা ৫টি সম্ভব্য ও বিনিয়োগযোগ্য আইডিয়াকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করেন।

বাজার চাহিদা, প্রযুক্তিগত মান, প্রেজেন্টেশনের দক্ষতা, প্রজেক্ট বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা ইত্যাদি মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে আইডিয়াগুলো সেরা বলে বিবেচিত হয়। প্রতিযোগীদের আইডিয়াগুলোকে আরও দক্ষ, উৎপাদনশীল এবং কার্যকরী করে তুলে ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা, ঝুঁকি, মূলধন ব্যবস্থাপনা, বিপণন, সাপ্লাই চেইন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিগত ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন বিজ্ঞ বিচারকমণ্ডলী।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যুক্ত হওয়ার এক মোক্ষম সময়ে আছি আমরা। একটি সমৃদ্ধ, উন্নত, দারিদ্র্যমুক্ত এবং ন্যায়সঙ্গত জাতি হিসেবে প্রস্তুত হতে হলে আগামী দুই দশকে আমাদের স্থানীয় প্রতিভার অভূতপূর্ব উদ্ভাবনের প্রয়োজন হবে। ডেটাবার্ড লঞ্চপ্যাডে আমরা দেখেছি বাংলাদেশের পেশাদার এবং শিক্ষার্থীরা দেশকে এগিয়ে নিতে কতোটা আগ্রহী।

ডেটাবার্ডের সিইও কাশেফ রহমান বলেন, প্রযুক্তির সাহায্যে জাতীয় সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় চিন্তাধারা চিহ্নিত ও তা উন্মোচন করাই ছিল ডেটাবার্ড লঞ্চপ্যাড ২০২১-এর সূচনার লক্ষ্য। বিগত কয়েক মাসে, ডেটাবার্ড এমন কিছু প্রতিভাবান ব্যক্তিদের লালন-পালন করেছে যারা প্রযুক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট অনন্য আদর্শ এবং ব্যবসায়ীক কৌশল উপহার দিতে পেরেছেন। লঞ্চপ্যাড ২০২১–এ অর্ধ শতাধিক দল অংশ নিয়েছে এবং ছাত্র ও পেশাদার উভয় ট্র্যাক থেকে বিজয়ী ঘোষণার মাধ্যমে এ আয়োজনটির সমাপ্তি টানা হয়েছে।

Advertisement

প্রফেশনাল ট্র্যাক বিজয়ী রিমোটলি পুরস্কারস্বরূপ ১৫ লাখ টাকা পেয়েছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ এডুটেক ও টিঙ্কারস টেকনোলজিস লিমিটেড যথাক্রমে ১০ লাখ টাকা এবং ৫ লাখ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন।

স্টুডেন্ট ট্র্যাক বিজয়ী করি কে পুরস্কারস্বরূপ দুটি ম্যাকবুক এবং রানার আপ ওয়েবল কে দুটি উইন্ডোজ ল্যাপটপ দেওয়া হয়। এছাড়া দ্বিতীয় রানার আপ হিসেবে কে. উ. অ্যাস্পায়ারকে দুটি স্মার্টফোন দেওয়া হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে, দেশের মধ্যে অনন্য একটি ইন্টারনেট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে ডেটাবার্ড লঞ্চপ্যাড। যার ফলে তরুণ প্রতিভাবানরা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে জাতিকে একটি উন্নত ভবিষ্যৎ উপহার দিতে সক্ষম হবে।

এমএমএফ/এমএস