লাইফস্টাইল

ওজন কমাতে বিদ্যা বালানের আজব কাণ্ড!

বিদ্যা বালান বলিউডের একজন সফল নায়িকা। তার ভক্তকূলের সংখ্যা কম নয়। এ নায়িকা তার জীবন নিয়ে গণমাধ্যমে বেশ খোলামেলা। বিদ্যা বালান অভিনেত্রী হিসেবে যতটা প্রশংসা কুড়িয়েছেন; তার চেয়েও বেশি ওজন নিয়ে কথা শুনেছেন।

Advertisement

১০ বছর আগের ‘ডার্টি পিকচার’ সিনেমায় বিদ্যা বালানকে সবাই যেমন আবেদনময়ী দেখেছেন; এখন তিনি পুরোপুরি বদলে গেছেন। অনেকটাই মুটিয়ে গেছেন। এজন্য বডি শেমিং সহ্য করেছেন অনেক। তবে এসবে লজ্জা না পেয়ে বারবার গণমাধ্যমের সামনে শরীর নিয়ে কথা বলেছেন।

ছোট থেকেই বিদ্যা বালান স্বাস্থ্যবতী। বলিউডে অভিনয় শুরুর পর থেকে ফিট থাকতে ও জিরো ফিগার হতে তাকে নানা কসরত করতে হয়েছে। বিদ্যার কথায়, ‘কিশোরী থাকতেই সবই আমাকে বলতো, এত সুন্দর তুমি কিন্তু ওজন কেন কমাও না?’

এ নায়িকা আক্ষেপ করে বলেন, ‘ওজন কমাতে গিয়ে আমি দিনের পর দিন না খেয়ে থেকেছি। পাগলের মতো শরীরচর্চা করেছি। তবে ওজন সাময়িক সময়ের জন্য কমলেও পরে আবারো বেড়েছে। আসলে সমস্যা আমার হরমোনে। এ কারণেই ওজন কমানো আমার পক্ষে খুবই কষ্টকর।’

Advertisement

যারা বিদ্যার শরীর নিয়ে কুমন্তব্য করেন তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘কেউ যখন আমায় শরীরচর্চার বিষয় নিয়ে কথা বলেন; তখন আমার ভীষণ রাগ হয়। আমি ওজন কমাতে এ পর্যন্ত কতটুকু পরিশ্রম করেছি, তা কি কারও জানা আছে?’

বিদ্যা বালানের বয়স যখন ১৭ বছর; তখন একজন তাকে বলেছিলেন, দিনে ১০ লিটার পানি পান করলে ওজন দ্রুত কমবে। বিদ্যাও তার কথায় পানি খেতে শুরু করেন। এরপর হীতে বিপরীত। অতিরিক্ত পানি হজম করতে না পারায় অনবরত বমি হতে থাকে। শেষে পরিবার তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়।

হরমোনজনিত সমস্যায় ভুগছেন বলে জানান তিনি। এ কারণেই ডায়েটিং বা ওয়ার্কআউট করেও তেমন সুফল পান না। ২০১৯ সালে বিদ্যা তার হরমোন পরিবর্তন করতেও চেয়েছিলেন। তবে শারীরিক ক্ষতির কথা চিন্তা করে আর করেননি।

বিদ্যা বালানের আরও একটি সমস্যা আছে। তিনি অবসেসিভ কমপ্লেসিভ ডিসঅর্ডারে (ওসিডি) ভুগছেন। যা মস্তিস্কে সেরোটোনিন নামক নিউরোট্রান্সমিটারের ঘাটতি, উত্তেজনা, কোনো কিছুর সংক্রমণ বা বংশগততা দ্বারা সৃষ্ট একটি মানসিক রোগ। এজন্য বিদ্যা তার চারপাশ সব সময় পরিষ্কার রাখেন। তিনি ধুলা-বালি এবং কাদা একেবারেই সহ্য করতে পারেন না।

Advertisement

‘হামারি আধুরি কাহানি’ সিনোমার জন্য বিদ্যা বালান ৬ কেজিরও বেশি ওজন কমিয়েছিলেন। প্রতিটি সিনেমার আগেই এভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেন। এখন আর আগের অবস্থানে নেই তার শরীর। অনেকটাই মুটিয়ে গেছেন। তবুও দর্শকপ্রিয়তা হারাননি। তার এমন লুক নিয়েও বেশ কয়েকটি ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

বিদ্যা বালানের ডায়েট কেমন?

সকালে* এক গ্লাস হালকা গরম পানি* এক মগ মশলা চা* ওটস, ইডলি, মুগডাল, এক বাটি ফল (কলা, স্ট্রবেরি, বরই, পেঁপে এবং লিচু)

দুপুরে* মসুর ডাল* ২টি রুটি* শাক-সবজি ও সালাদ* খাবারের কিছুক্ষণ পর মশলা চা

সন্ধ্যায়* বিভিন্ন মৌসুমী ফল* ভেজিটেবল স্যান্ডউইচ

রাতে* ওটস/ইডলি/রুটি* চিকেন বা ফিশ* সালাদ

শরীরচর্চা* কার্ডিও* ইয়োগা

শত ব্যস্ততার মাঝেও বিদ্যা ৮ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেন। এ অভিনেত্রী দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন। ব্যক্তিগত প্রশিক্ষকের কাছে সপ্তাহে ৪-৫ দিন ওয়ার্কআউট করেন।

জেএমএস/এসইউ/এমএস