ভ্রমণ

যে কারণে ৫ দেশে ভ্রমণ করতে চান না পর্যটকরা

দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করার পাশাপাশি চিন্তার পরিধি বাড়ানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে ভ্রমণ। ভ্রমণে দারুণ কিছু অভিজ্ঞতা ছাড়াও মাঝে মাঝে অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতাও হতে পারে। কখনো কখনো ভ্রমণে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়। যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। যাতে পর্যটকদের সম্পৃক্ততাও থাকে না। কারণগুলো দেশটির অভ্যন্তরীণ হতে পারে।

Advertisement

যে কারণে ভ্রমণকারীরা সাধারণত কিছু শহর বা দেশ সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যান। এমনই কয়েকটি দেশ সম্পর্কে জেনে নিন আজ—

কলম্বিয়া: কলম্বিয়ার মেডেলিন একটি বিশেষ সহিংস শহর ছিল। বিশ্বে হত্যাকাণ্ড সবচেয়ে বেশি ছিল এ শহরে। তাই মেডেলিনে খুব কমই যাতায়াত করতেন পর্যটকরা। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি যথেষ্ট উন্নত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এখানে হত্যাকাণ্ড আশানুরূপভাবে হ্রাস পেয়েছে।

চীন: চীনকে প্রায়ই বিশ্ব গণমাধ্যমে দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র হিসাবে তুলে ধরা হয়। কারণ হিসাবে দেখা যায়, দেশে অন্য জাতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভ্যন্তরীন নজরদারি রয়েছে। চীনের নাগরিকদের মধ্যে স্বাধীনতার অভাব রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, চীনে গেলে গ্রেফতার বা খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন।

Advertisement

রাশিয়া: বিপজ্জনক ভ্রমণ গন্তব্য হিসাবে রাশিয়ার খ্যাতি সম্ভবত পুতিন যুগের শুরু থেকেই। একজন সাংবাদিক হিসাবে কাজ করতে গেলে উচ্চ মহলের সুপারিশ নিতে হবে। তাছাড়া দেশটিতে অনেকগুলো ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এবং যেকোনো জায়গায় সর্বাধিক নিজস্ব শৈল্পিক শৈলী রয়েছে।

জিম্বাবুয়ে: দেশটির অর্থনীতি ধ্বংসাত্মক অবস্থায় রয়েছে। তা সত্ত্বেও জিম্বাবুয়ে ভ্রমণ সবচেয়ে সুন্দর হতে পারে। কেননা ভৌগলিকভাবে বিচিত্র দেশ হিসাবে দেশটির পরিচিতি রয়েছে। অনেক পর্যটক বলছেন, দেশের অর্থনীতি তাদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলেনি। কারণ জিম্বাবুয়ে এখন ভ্রমণকারীদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় স্পট।

তুরস্ক: ইস্তাম্বুল তুরস্কের রাজধানী নয়। তবে এটি এখনো ভ্রমণ করার সেরা শহর হিসাবে বিবেচিত। তবুও ইস্তাম্বুল বিগত বছরগুলোতে অশান্তির কারণ ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে তুরস্ক জড়িত থাকার কারণে সেই বিপজ্জনক খ্যাতি যুক্ত হয়েছিল। তাই অনেকেই ইস্তাম্বুলকে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণগন্তব্য হিসাবে বিবেচনা করেন।

সবশেষে বলা যায়, অতীতের অনেক কারণ পর্যটকদের বিভিন্ন দেশে যেতে নিরুৎসাহিত করবে। তবে অনেকেই বলবেন, দেশটি আগের চেয়েও নিরাপদ। অন্য অবস্থার তুলনায় এখন ভালো। বিপজ্জনক ঘটনাগুলো আগের। কেননা দীর্ঘকাল ধরে এসব দেশে আর কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি।

Advertisement

সূত্র: লিস্টভার্স

সালমান/এসইউ/এএ/এমকেএইচ