লাইফস্টাইল

সেদ্ধ ডিম খেলে কি ওজন কমে?

ডিম পুষ্টিকর একটি খাবার। ডিম খাওয়ার সব ধরনের উপায়ের মধ্যে সেদ্ধ করে ডিম খাওয়াকে সবচেয়ে পুষ্টিকর উপায় মনে করা হয়। সেদ্ধ ডিমের ক্যালোরি মোটামুটি কম। এতে প্রচুর পুষ্টি, প্রোটিন, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। আপনি যদি দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা করে থাকেন তবে সেদ্ধ ডিম আপনাকে সাহায্য করতে পারে। সেদ্ধ ডিমের একটি ডায়েট রয়েছে যা কোনো ঝামেলা ছাড়াই দ্রুত ওজন কমায়। এমনটাই প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া-

Advertisement

সেদ্ধ ডিমের ডায়েট কী?একটি ‘ফ্যাড’ ডায়েট হিসাবে বিবেচনা করা হয়। দিনের মধ্যে একাধিক বার সেদ্ধ ডিম খাওয়ার ভিন্ন উপায় এই ডায়েট। ২০১৮ সালে ডায়েটটি প্রথম জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এই ডায়েট পালনকারীরা দাবি করেছিলেন যে, এটি দুই সপ্তাহের মধ্যে ১১ কেজি পর্যন্ত ওজন কমাতে পারে। ওজন হ্রাস ছাড়াও এই ডায়েট হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ও ব্লাড সুগারকে কার্যকর উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

কিভাবে করবেন এই ডায়েটএকদিনে সেদ্ধ ডিমের একাধিক পরিবেশন করা ছাড়াও এই ডায়েটে অন্য স্বল্প-ক্যালরিযুক্ত পুষ্টির উৎস যেমন পাতলা প্রোটিন এবং স্টার্চিবিহীন শাকসবজি খেতে পারেন। এই খাবার পরিকল্পনায় কিছু স্বল্প-ক্যালোরি ফলও অনুমোদিত। এই ডায়েটে ব্ল্যাক/গ্রিন বা চিনি ছাড়া কফি থাকতে পারে। চর্বি, তেল, ভেষজ খেতে পারেন, তবে তা স্বল্প পরিমাণে।

উচ্চ শর্করা জাতীয় খাবার যেমন শস্য, কিছু শাকসবজি এবং ফল খাওয়া যাবে না। প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। ডায়েটটি এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যাতে আপনি কয়েক সপ্তাহের জন্য নির্দিষ্ট খাবারেই সীমাবদ্ধ থাকেন এবং তারপরে আস্তে আস্তে স্বাস্থ্যকর খাওয়ার ধরনে ফিরে আসবেন।

Advertisement

এটি কীভাবে কাজ করে?সেদ্ধ ডিমের ডায়েট দুইভাবে কাজ করে - ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ এবং স্বল্প-কার্বোহাইড্রেট খরচ। ডিম, স্টার্চবিহীন সবজি এবং ডায়েট প্ল্যানের অন্যান্য উপাদানগুলোর ক্যালোরির তুলনামূলক কম। তাই এটি শরীরে ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি করতে পারে। যা আদর্শ ওজন হ্রাসের ভিত্তি পরিকল্পনা।

দ্বিতীয়ত, কম কার্বযুক্ত খাবার খেলে তা ওজন কমানোকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে। ডিম আপনার সামগ্রিক খাদ্য গ্রহণ সীমিত করে, দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখে।

এই ডায়েটের একটি সুবিধা হলো, এটি আপনাকে প্রক্রিয়াজাত বা অস্বাস্থ্যকর অ্যাডিটিভ যেমন চিনি বা অত্যধিক ক্যাফেইন খাওয়া থেকে বিরত রাখে।

এই ডায়েটে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো, এর সীমাবদ্ধ প্রকৃতি। ডায়েটে কম-ক্যালোরি, কম-কার্ব জাতীয় খাবার থাকে এবং অন্যান্য খাবারকে দূরে রাখতে বলে। এই জাতীয় ডায়েটের কাজটি স্বল্প সময়ে ওজন কমানোর গতি বাড়িয়ে তুলতে পারে, তবে প্রতিরোধমূলক ডায়েটগুলো দীর্ঘকাল ধরে টেকসই হয় না। কেউ কেউ নিয়ন্ত্রিত ডায়েট অনুসরণ করার পরও ওজন বাড়িয়ে তোলেন।

Advertisement

এই ডায়েটের বিধিনিষেধগুলো পুষ্টির ঘাটতির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি শক্তি হ্রাস করতে পারে, যে বিষয়ে সতর্ক হওয়া দরকার। কিছুদিন পরে ডায়েটের কাঠামোটিকেও বিরক্তিকর বলে মনে হতে পারে এবং এটি অনুসরণ করা কঠিন হতে পারে।

দিনে কতগুলো সেদ্ধ ডিম খাওয়া যাবে?বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে, দিনে ৩টি পর্যন্ত ডিম খাওয়ার কোনো সমস্যা নেই। তবে ডিম শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করে। তাই আপনি কোনোরকম ক্রনিক অসুখে ভুগলে ডিম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এইচএন/এএ/জেআইএম