লাইফস্টাইল

করোনার কারণে যেসব অভ্যাস বদলে গেছে

সুন্দর সুন্দর পোশাক পরে দাওয়াত বা পার্টিতে যাওয়া এখন আমাদের কাছে অতীত। করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় পুরো পৃথিবীর মানুষ। এই মহামারী এসে বদলে দিয়েছে আমাদের উৎসব কিংবা শোক উদযাপনের ধরন। আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাসেও ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে এটি।

Advertisement

মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলো অনুসরণ করা এবং সমাবেশ এড়ানো আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচার সেরা উপায়। টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রকাশ করেছে এমন কিছু অভ্যাসের কথা, যা করোনার কারণে আমূল বদলে গেছে।

জমকালো উপায়ে বিয়ের আয়োজন করোনার কারণে জমকালো উপায়ে বিয়ের আয়োজন অনেকটাই বদলে গেছে। এখন বিয়ে হলেও মানুষেরা ঘরোয়াভাবে স্বল্প পরিসরে আয়োজন করছেন।বিহারের একটি বিয়ের জমকালো আয়োজনের ফলে কয়েকশ লোক সংক্রামিত হয়েছিল এবং সংক্রমণের কারণে বিয়ের দু'দিন পর বর মারা গেছে।

শুধু এটিই নয়, রাজস্থানের আরেকটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ২০০ জনের সমাগম হয়েছিল। সেখানে তিনজন করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে, সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এখনও এমন কিছু অসতর্ক মানুষ রয়েছেন, যারা এমন খবরের পরেও আতঙ্কিত বোধ না করে জমকালোভাবে বিয়ের আয়োজন করে যাচ্ছেন। আশার কথা হলো, এরকম মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নয়।

Advertisement

জন্মদিন উদযাপনহায়দরাবাদের এক জহুরি ১০০ জন অতিথি নিয়ে একটি জন্মদিনের আয়োজন করেন এবং এক সপ্তাহ পরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হন। জন্মদিনের পার্টিতে মন্ত্রী, বিধায়ক এবং অন্যান্য অভিজাতরা উপস্থিত ছিলেন।

ধর্মীয় ঘটনামারকাজে অংশ নেয়া প্রায় ৪,২৯১ জন লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাদেরকে ভারতের ২৩ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে সনাক্ত করা হয়েছিল। এটি তখনকার বৃহত্তম সংক্রমণ চেইন ছিল। এরপরে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে লোকেরা এখনও উচ্চ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। সম্প্রতি ভারতে পুরীর রথযাত্রায় প্রায় ৫০০ জনের ভিড় দেখা গেছে।

জানাজায় বিশাল সমাবেশপ্রিয়জনের মৃত্যুতে শোক হবেই। তবে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জানাজায় অংশ নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। মহামারীর কারণে, মাত্র ২০ জনকে একটি জানাজায় অংশ নিতে দেয়া হয়েছিল। তবে ভারতের আসামে এক ধর্ম প্রচারকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ১০,০০০ লোক অংশ নিয়েছিল, যা পুরো লকডাউনের দিকে পরিচালিত করে।

হাঁটাচলা এবং জগিংসুস্থ থাকার জন্য ফিট থাকা জরুরি। তবে এই মুহূর্তে নিজেকে এবং অন্যদের ঝুঁকিতে না ফেলতে চাইলে হাঁটাচলা বা জগিং করতে বের হওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। এমনটা ভেবে অনেকেই হাঁটা বা জগিংয়ের জন্য বাড়ির বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকছেন।

Advertisement

এইচএন/এএ/পিআর