ফিচার

করোনাকালে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের দিনকাল

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। বিষয়টি বিবেচনা করে অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকেন। তবে একজন ক্যাম্পাস সাংবাদিকের সময় কাটে খুবই ব্যস্ততার মাঝে। ক্লাস-পরীক্ষার পাশাপাশি তাকে সব সময় ব্যস্ত থাকতে হয় সংবাদ সংগ্রহের কাজে। কিন্তু করোনা সংকটে সেই ব্যস্ততায় ভাটা পড়েছে।

Advertisement

তাহলে ক্যাম্পাসের খবরের ফেরিওয়ালাদের কিভাবে কাটছে দিন? তা জানতেই ক্যাম্পাস প্রতিনিধিদের দিনলিপি তুলে ধরছেন রেদওয়ানুল ইসলাম—

সালমান শাকিল, জাগো নিউজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ক্যাম্পাস বন্ধ। সকাল-সন্ধ্যা তথ্যের পেছনে ছোটার অভ্যাসে কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবে সংবাদকর্মী হিসেবে বসে থাকা যায় না। তাই ক্যাম্পাসসংশ্লিষ্ট কোথায় কী ঘটছে, সে ব্যাপারে কম-বেশি আপডেট থাকছি। ক্যাম্পাস থেকে দূরে থাকায় তথ্য পেতে ভরসা অনলাইন ও মুঠোফোন। বিশেষত সংবাদকাহিনি লিখতে নির্ভর করতে হচ্ছে ইউজার জেনারেটেড কনটেন্টের উপর। ঘরে বসে বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে সাংবাদিকতা করার নতুন অভিজ্ঞতা এটি। ইউজিসি সাংবাদিকতা অনেকটা সহজ করে দিয়েছে। তবে একধরনের চ্যালেঞ্জও। যা জানান দিচ্ছে আগামীর সাংবাদিকতার ধরনও। ব্যক্তিগত কাজ বলতে পরিবারকে সময় দেওয়া হচ্ছে বেশি। জুনিয়রের সাথে সময় কাটছে। বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। যখন ভালো লাগছে বই পড়ছি। এ ছাড়া কনটেন্ট রাইটিংয়ের দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা চালাচ্ছি। লেখালেখির কাজটা চলছে বেশ।

Advertisement

মাজহারুল ইসলাম রবিন, সমকাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সাংবাদিকতা পেশা বরাবরই চ্যালেঞ্জিং। ক্যাম্পাস রিপোর্টারদের এরিয়া ছোট হলেও তাদেরও নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হয়। এ ছাড়া ক্যাম্পাস রিপোর্টাররা স্টাফ রিপোর্টারদের সমানই কাজ করে। ক্ষেত্র বিশেষে হয়তো বেশি। ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পর পেশাগত দায়িত্ব থাকে। অনেক সময় দেখা যায়, সকাল সাড়ে আটটায় ক্লাসের জন্য বের হতে হয়। এরপর ক্লাস শেষ করে সংবাদ সংগ্রহ করে তা অফিসে পাঠিয়ে হলে ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায়। আর যদি কোনো ধরনের আন্দোলন হয়, তাহলে তো কথাই নেই। নাওয়া-খাওয়া ভুলে দায়িত্ব পালন করতে হয়। ছুটিতে সব শিক্ষার্থী বাড়ি গেলেও ক্যাম্পাস রিপোর্টাররা বাড়ি যেতে পারে না। এটা একসময় আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে ক্যাম্পাস আর হল বন্ধ হওয়ার কারণে বাড়িতে আসতে হয়েছে। বাড়িতে বসে অলস সময় কাটলেও দায়িত্ব থেকে পালিয়ে বেড়ানো কোনো সাংবাদিকের কাজ নয়। ক্যাম্পাসের কোনো সংবাদ থাকলে বাড়িতে বসেই সেটি অফিসে পাঠাই। সব সময় সতর্ক থাকি যেন কোনো সংবাদ ছুটে না যায়। মোট কথা, বাড়িতে থাকলেও দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। এভাবেই চলছে দিন।

আসিফ হাসান রাজু, যায়যায়দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ক্যাম্পাসে থাকাকালে পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতার সুবাদে প্রায়ই ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট লকডাউনের কারণে সেই ব্যস্ততা এখন নেই। প্রায় দেড় মাস বাড়িতে বসে অন্যরকম সময় কাটছে। দিনের অধিকাংশ সময় বিভিন্ন বই পড়ে আর অনলাইনে দেশি-বিদেশি খবরের কাগজ পড়ার পাশাপাশি করোনা সম্পর্কিত বিভিন্ন গবেষণাপত্র ঘাটাঘাটি করে। মাঝেমাঝে ক্লাবের ছোট ভাইসহ বন্ধুদের সাথে অনলাইনে যোগাযোগ, আড্ডার মাধ্যমে। এ ছাড়া কোয়ারেন্টাইনের এ সময়টাতে পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটছে। বাড়ির কিছু কাজে সহযোগিতা করার পাশাপাশি একাডেমিক জ্ঞানের বাইরে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা ও অনলাইনে বিভিন্ন কোর্সের মাধ্যমে জানা এবং শেখার চর্চা অব্যাহত রেখেছি। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বিষয়ের উপর লেখালেখির চেষ্টা করছি। এত কিছুর মাঝেও ভীষণভাবে মিস করছি ক্যাম্পাসের সেই ব্যস্ত সময় আর প্রিয় মানুষগুলোকে। তবে একটা কথা সত্য যে, লকডাউনের প্রথম কয়েকদিন ভালো সময় যাচ্ছিল। কিন্তু এখন সময় যত যাচ্ছে, বিরক্তি ততই বাড়ছে। আমি বিশ্বাস করি, খুব তাড়াতাড়ি হয়তো আমরা এ অবস্থা থেকে মুক্তি পাবো। সুস্থ পৃথিবীতে আবারও ব্যস্ত সময় পার করবো।

Advertisement

মেহেদী কবীর, যুগান্তর, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

করোনার প্রভাবে আজ বিশ্ব থমকে দাঁড়িয়েছে। যার ভয়াল থাবা থেকে বাদ যায়নি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। লকডাউনে ‘জীবন’ কেমন চলছে তা বলা অনেকটাই কঠিন। এ অনিশ্চয়তার জীবনকে সংজ্ঞায়িত করা বড় কঠিন। তবে ভালো-খারাপ মিলিয়েই চলছে বলা যায়। ভালোর দিকে যদি বলি, এতদিন বাইরে বাইরে থাকার কারণে কখনো সেভাবে পরিবারকে সময় দেওয়া হয়নি, যা পুষিয়ে দিয়েছে লকডাউন। বাবা-মাকে ঘরের বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করছি। ফল-মূলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন গাছ বাড়ির আশেপাশে রোপণ করছি। সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হলো, দীর্ঘ ১৫ বছর পর বাবা-মাসহ পরিবারের সবাই একসাথে ইফতার করেছি। অন্যদিকে খারাপ লাগার জায়গা যদি বলি, ক্যাম্পাস বন্ধ, সেভাবে সাংবাদিকতা করার সুযোগ অনেকটাই কম। তাই ক্যাম্পাস জীবনের ব্যস্ততম সময়গুলোকে ভয়ঙ্করভাবে মিস করছি। যদিও ফোনে ও অনলাইনে সবার সাথে যোগাযোগ রাখছি। এ ছাড়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি করোনায় ক্যাম্পাসের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর। এর বাইরে খবর দেখা ও বই পড়া হয় নিয়মিত। তবে আমি আশাবাদী, এ ঘোর অমানিশা কেটে শিগগিরই আসবে নতুন দিনের সোনালি সূর্য। আসবে নতুন প্রত্যাশা, জাগবে আমাদের বাংলাদেশ।

লতিফুল ইসলাম, সমকাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত মুখ হচ্ছে কর্মরত ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা। প্রশাসনিক ভবন থেকে ক্যাম্পাসের অলিগলি সর্বত্রই তাদের বিচরণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের ছুটি থাকলেও যেন ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ছুটি নেই। ঈদ, পূজা থেকে সরকারি- সব ছুটির সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক সব বিষয়ের খোঁজ-খবর রাখতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সব সিদ্ধান্ত, ছাত্র-শিক্ষকদের সমস্যা, ছাত্ররাজনীতির হালচালের সব তথ্য সব সময় রাখতে হয়। বৈশ্বিক মহামারীর শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। ছাত্র-শিক্ষক সবাই বাসায় ছুটি কাটাচ্ছে। বন্ধের শুরুতে আমিও গ্রামের বাসায় চলে আসছি। কিন্তু বাসায় বসেও যেন দায়িত্বের কমতি নেই। অনাবাসিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী ভাড়া বাসা বা মেসে থাকেন। তাদের সমস্যার শেষ নেই। করোনার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্ভুত সমস্যায় প্রশাসনকে অবহিত করতে হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের জানাতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, সহকর্মী, বন্ধু, বড়, ছোট ভাই-বোন সবার সাথে ভার্চুয়াল যোগাযোগে সময় কাটে। এ ছাড়া অবসর সময়ে প্রিয় কয়েকজন লেখকের বই পড়ে সময় কাটছে।

আবির আব্দুল্লাহ, বাংলা নিউজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

ঈদ কিংবা পূজার ছুটি ছাড়া বাড়ি যাওয়ার সুযোগ খুব কমই পায় ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা। বছরে দু’একবার বাড়িতে গেলেও ক্লাস-পরীক্ষা কিংবা সাংবাদিকতার খাতিরে ক্যাম্পাস ছাড়ার আগেই ক্যাম্পাসে ফেরার টিকিটের বন্দোবস্ত করতে হয়। অনাকাক্ষিতভাবে ক্যাম্পাস বন্ধ হলে পেশাগত কারণেই হয়তো বাড়ি যাওয়া হয় না এসব কলমযোদ্ধাদের। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেকটাই অলস সময় পার করছেন ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা। অধিকাংশের মতো আমিও ছুটিটা নিজের পরিবারের সঙ্গেই কাটাচ্ছি। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কাজের ভিড়ে অধিকাংশ সময় বাড়ির মানুষদের খোঁজ-খবর সেভাবে নেওয়া হয় না। কিংবা ছুটিতে বাড়ি গেলে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে কুশলাদী বিনিময়ের সুযোগটাও মেলে না। এ ছুটিতে নিজের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের খোঁজ-খবর নেওয়ার যে সুযোগ পাওয়া গেছে, সেটাকে কাজে লাগাচ্ছি। কৃষিপ্রধান দেশ হওয়ায় গ্রামাঞ্চলের প্রত্যেকটি পরিবারই চাষাবাদ করে। বাড়িতে না থাকায় কৃষিকাজে সাহায্য করা হয় না দীর্ঘদিন। ধান কাটা ও ভুট্টার কাজ চলছে এখন। এসব কাজে সাহযোগিতা করেই মূলত দিন কেটে যাচ্ছে। এসবের পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক কিছু বই পড়ছি এবং বিভিন্ন জাতি ও ভাষার সিনেমা দেখছি। এ ছাড়া ক্যাম্পাস সংশ্লিষ্টদের খোঁজ-খরব ও বন্ধুদের সঙ্গে ভার্চুয়াল আড্ডা তো চলছে।

সরকার মাসুম, যুগান্তর, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

মূলত আমাদের সাংবাদিকতার মূল স্পট ক্যাম্পাস। পড়ালেখার ধকল সামলে সংবাদের খোঁজে যাদের এক তিল পরিমাণ বিশ্রামের সুযোগ থাকে না। সব ব্যস্ততার অবসান, আজ তারা ঘরবন্দি। বিষয়টি ভাবনার উপরন্তু কষ্টের বটে! এটি দু’কারণে, অন্য শিক্ষার্থীর তুলনায় ছুটি কম, পরিবারের সাথে সময় কাটানো কিংবা আমাদের অবসর বলে কিছু থাকেই না। লকডাউনে সে সুযোগ ঘটেছে। এটি ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের জন্য আশীর্বাদ বলা যেতে পারে। তবে অতি ছুুটি আর বাঁধাধরা জীবনযাপন আশীর্বাদের পরিবর্তে অভিশাপে রূপ নিয়েছে। যখন বুঝতে শিখি, পরিবার কী? তখন আমরা পরিবার থেকেই দূরে থাকি। যদিও দু’একদিনের জন্য পরিবারে ফেরা হয়, তাহলে তা অতিথির বেশে। সময়টাতে ইচ্ছেমত পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছি। পরিবার, সংসার নিয়ে নতুন সব অভিজ্ঞতাও দিন দিন বাড়ছে। সাহিত্য আর উপন্যাসের প্রতি ঝোঁক আগে থেকেই। ব্যস্ততা আর অলসতায় দূরে চলে গিয়েছিলাম অনেকটা। সময়টা কাজে লাগিয়ে ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা করছি। ব্যক্তিগতভাবে সংবাদপত্র পাঠে আমার একটু আগ্রহ কম। করোনাকালীন এ সময়ে আমার দীর্ঘদিনের সে অভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে। খুঁটেখুঁটে অনলাইনে সংবাদ পড়েই কাটে অধিকাংশ সময়। সামাজিক জীব হিসেবে সমাজের মানুষের প্রতি কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য আপনাআপনি জন্মে। মহা এ দুর্যোগে তাদের পাশে কিছুটা দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

রুমান হাফিজ, ডেইলি বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ববিদ্যালয়কে সাংবাদিকতা চর্চার ‘উর্বর ভূমি’ বলা হয়। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা বাস্তবিক পক্ষে পূর্ণকালীন পেশা। তাছাড়া ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর কেন্দ্র করে কাজ নেই। করোনাভাইরাসের এ কঠিন সময়ে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের যেন বন্ধ নেই। বাড়িতে বা বাসায় বসে অনেকেই চালিয়ে যাচ্ছেন সাংবাদিকতা। আমার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। প্রতিনিয়ত সবার সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা তো হচ্ছেই। করোনাকালীন দুর্যোগে এগিয়ে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের বিভিন্ন কাজগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি। ইতিবাচক কাজের জন্য যথেষ্ট সাড়াও পাচ্ছি সবার থেকে। তবে সব ছাপিয়ে প্রিয় ক্যাম্পাস আর চবি সাংবাদিক সমিতির প্রিয় মুখগুলোকে খুব মিস করছি। পৃথিবী সুস্থ হয়ে গেলে কলমযোদ্ধাদের সাথে আবারও দেখা হবে একুশশত একরের সুবিশাল ক্যাম্পাসে।

এসইউ/পিআর