ধর্ম

করোনায় জমজমের পানি পানের পরামর্শ শায়খ সুদাইসির

বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে পুরো বিশ্ব অচল। এ সময়ে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববি অঞ্চলে দায়িত্ব পালনকারীদের মাঝে ঝমঝমের পানি বিতরণ করেছেন শায়খ সুদাইসি। তিনি মহামারি করোনা আক্রান্তদের জমজমের পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন।

Advertisement

সৌদি আরবের দুই পবিত্র মসজিদের প্রেসিডেন্সি প্রধান ড. শায়খ আবদুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আস সুদাইস সামাজিক ও জাতীয় দায়িত্ববোধ থেকে নিজে হারাম অঞ্চলে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য দায়িত্বশীলদের মাঝে ঝমঝমের পানি বিতরণ করেন।

দেশটিতে প্রাণঘাতী করোনা আক্রান্ত রোগীদের জমজমের পানি সরবরাহেরও নির্দেশ দিয়েছেন শায়খ সুদাইসি। শায়েখ সুদাইসের ঘোষণার পর থেকে সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জমজমের পানি বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি মদিনার মসজিদে নববি পরিদর্শন উপলক্ষে সফরকালেও শায়খ সুদাইসি সেখানে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী ও দায়িত্ব পালনকারীদের মাঝে জমজমের পানি বিতরণ করেন।

Advertisement

জমজমের পানি পৃথিবীর সেরা বিশুদ্ধতম পানি। জাপানি বিজ্ঞানী ইমোতো মাসারুর গবেষণা তা ওঠে এসেছে-- এক ফোঁটা জমজমের পানিতে যে পরিমাণ আকরিক পদার্থ থাকে তা পৃথিবীর অন্য কোনো পানিতে থাকে না।- জমজমের পানির গুণগত মান কখনো পরিবর্তন হয় না।- জমজমের পানিতে এন্টিমনি, বেরিলিয়াম, ব্রোমাইন, কোবাল্ট, বিস্মুথ, আয়োডিন আর মলিবডেনামের মতো পদার্থগুলোর মাত্রা ছিল ০.০১ পিপিএম থেকেও কম। ক্রোমিয়াম, ম্যাংগানিজ আর টাইটানিয়াম এর মাত্রা ছিল একেবারেই নগণ্য।- জাপানি বিজ্ঞানীর পরীক্ষা অনুযায়ী জমজমের পানির পিএইচ হচ্ছে ৭ দশমিক ৮। যেটি সামান্য ক্ষারজাতীয়। বিজ্ঞানী তার পরীক্ষায় আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, সীসা এবং সেলেনিয়ামের মতো ক্ষতিকর পদার্থগুলো ঝুঁকিমুক্ত মাত্রায় পেয়েছেন। যে মাত্রাগুলোতে মানুষের কোনো ক্ষতি হয় না।- সাধারণত পানির কূপে জলজ উদ্ভিদ জন্মালেও জমজম কূপে তা জন্মায় না।

- জমজমের পানিতে যেসব আকরিক পদার্থ পাওয়া গেছে তার মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফ্লোরাইড, সোডিয়াম, ক্লোরাইড, সালফেট, নাইট্রেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম উল্লেখযোগ্য। ফ্লোরাইড ছাড়া বাকি মিনারেলগুলোর মাত্রা অন্যসব স্বাভাবিক খাবার পানিতে পাওয়ার মাত্রা থেকে বেশি।- মাসারু তার পরীক্ষায় জমজমের পানির এমন এক ব্যতিক্রমধর্মী মৌলিক আকার পেয়েছেন যেটি খুবই চমকপ্রদ। পানির দুইটি স্ফটিক সৃষ্টি হয়- একটি আরেকটির উপরে কিন্তু সেগুলো একটি অনুপম আকার ধারন করে।

এমএমএস/এমকেএইচ

Advertisement