‘আধুনিক বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাণ সঞ্চার করেছেন কবি আল মাহমুদ। সাহিত্য ও কবিতার সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছিল তার নাম। আল মাহমুদের কালজয়ী রচনা সাহিত্যের ফসলি জমিনকে করেছে অনেক উর্বর। প্রতাপশালী কবি হওয়ায় তার সমকালে ও উত্তরকালে অনেকের ঈর্ষার শিকার হয়েছিলেন তিনি।’
Advertisement
কবি আল মাহমুদের প্রথম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কবিতা ক্যাফেতে আয়োজিত এক স্মরণানুষ্ঠানে অতিথিরা এসব কথা বলেন।
অতিথিরা বলেন, ‘বিভাজিত রাজনৈতিক সংস্কৃতির কারণে তাকে উপেক্ষারও শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু আধুনিক বাংলা ভাষা-সাহিত্য ক্রমান্বয়ে আল মাহমুদের দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে। কারণ বাঙালি সংস্কৃতি, গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা, স্বাধীনতা ও একুশের অনিবার্য অংশ হয়ে উঠেছে আল মাহমুদের সাহিত্যকীর্তি। শেষ বয়সে আল মাহমুদ চোখে না দেখে মহাকাব্য লিখেছেন, যা বিরাট মাইলফলক হয়ে আছে।’
কবি ও কবিতা আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কবি জাহিদুল হক, কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, কবি আসলাম সানী, পশ্চিমবঙ্গের কবি কাজল চক্রবর্তী, কথাসাহিত্যিক আবু সাঈদ জুবেরী, কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, কবি আজরা পারভীন সাঈদ, আবৃত্তিশিল্পী নাসিম আহমেদ ও কবি জাকির আবু জাফর।
Advertisement
সভাপতিত্ব করেন কবি শাহীন রেজা। কবিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন আল মাহমুদ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও কবির সহ-লেখক আবিদ আজম, কবি শামিল আরাফাত ও কবির বেয়াই আবুল হোসেন।
অনুষ্ঠানে সরলরেখা প্রকাশনা সংস্থা থেকে বইমেলায় প্রকাশিত কবি আল মাহমুদ রচিত মহাকাব্য ‘এ গল্পের শেষ নেই শুরুও ছিল না’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এছাড়া কথা-মূল্যায়ন, নিবেদিত কবিতা ও স্মৃতিচারণের মাধ্যমে আধুনিক বাংলা ভাষার সর্বব্যাপ্ত অধিশ্বর আল মাহমুদকে স্মরণ করা হয়।
এসইউ/এমকেএইচ
Advertisement