জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই জীবনাবসান ঘটা প্রিয় এই লেখকের প্রতি ভক্তদের আগ্রহ ও অনুরাগের যেন কোনো কমতি নেই। তাইতো এবারও মেলায় তার বই কিনতে ভিড় জমিয়েছেন তারা।
Advertisement
শুক্রবার ছুটির দিনে স্টলে স্টলে ভিড় দেখা যায়। বিকেল হতে না হতেই নামে পাঠক-দর্শনার্থীর ঢল।
প্রকাশনা সংস্থা অন্যপ্রকাশের সামনে দেখা যায়, হুমায়ূন আহমেদের বই কেনার জন্য পাঠকের যথারীতি দীর্ঘ সারি।
বিকেলে বাংলা একাডেমির মাঠে বসে কথা হচ্ছিল মিরপুর থেকে বের রুহুল আমিনের সঙ্গে। তিনি জানান, সকালেই তার শিশু সন্তান তামান্নাকে নিয়ে এসেছেন। আজ ছুটি থাকায় সারাদিন মেলায় থেকে গেছেন। তামান্না রূপকথা ও ভূতের বই কিনেছে।
Advertisement
প্রকাশনা সংস্থা বিশ্ব সাহিত্য ভবনের বিক্রয়কর্মী মেহেদী হাসান বলছিলেন, আজক পাঠক-দর্শনার্থী দেখে ভালো লাগছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
সাহস পাবলিকেশনসের কর্ণধার নাজমুল হুদা রতন বলেন, ‘আমার দৃষ্টিতে মেলা প্রথম দিন থেকেই জমেছে। আমার স্টলের বিক্রি নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
গত ২ ফেব্রুয়ারি এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ৮ লাখ বর্গফুট জায়গায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের মেলা। এবার পুরো মেলা প্রাঙ্গণে মুজিববর্ষ উদযাপনের ছোঁয়া লেগেছে। নান্দনিক করা হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ।
মেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি স্টল ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৪টি স্টলসহ মোট ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
Advertisement
লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে। লিটল ম্যাগাজিনকে ১৫২টি স্টল বরাদ্দ ছাড়াও ছয়টি উন্মুক্ত স্টল রাখা হয়েছে।
২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ মেলা। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। ছুটির দিন মেলা খোলা থাকবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।
জেডএ/পিআর