লাইফস্টাইল

আমন্ড খেলে কী হয়?

আমন্ড খেলে কী হয়?

শরীর সুস্থ রাখার জন্য খুঁজে খুঁজে স্বাস্থ্যকর খাবার খান সচেতন যে কেউ। সব সময় যে সঠিক খাবারের খোঁজ মেলে, এমন কিন্তু নয়। ভুল করে ভুল খাবার খেয়ে বরং সমস্যা আরও বাড়ে। অথচ কিছু খাবার থাকে হাতের নাগালেই, যা নিয়মিত খেলে শরীরের অনেক রকম ঘাটতি মেটানো সম্ভব। তেমনই একটি খাবার হলো আমন্ড। ছোটখাট এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর গুণ। চলুন জেনে নেয়া যাক-

Advertisement

আমন্ডে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম কপারের মতো খনিজ পদার্থ, রয়েছে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিনস-এর মত দরকারি পদার্থগুলিও। অনেক জরিপে দেখা গেছে আমন্ডে ভিটামিন ই-এর পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, যারা নিয়মিত আমন্ড খান তাদের শরীরে ভিটামিন ই-এর অভাবজনিত রোগ দেখাই যায় না।

সারাদিন কাজ করার ফলে শরীরে প্রচন্ড স্ট্রেস জমা হয়। এই স্ট্রেসের ফলে কোষের ক্ষতি হতে থাকে। আমন্ডে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসকে কমাতে সাহায্য করে। মৃত কোষগুলোকে সুস্থ স্বাভাবিক করে তোলে। শুধু মৃত কোষগুলোকে বাঁচিয়ে তুলতেই নয়, ত্বকের বার্ধক্য কমাতেও এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমান উপকারী। আবার প্রদাহজনিত কোনো ব্যথা হলে তা কমাতেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রয়োজন।

৫০ গ্ৰাম আমন্ডে ম্যাগনেশিয়াম থাকে প্রায় দেড়শো গ্ৰামের মতো। তাই আমন্ড খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় ম্যাগনেসিয়াম-এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা শরীরে ঠিক থাকলে ইনসুলিনের কাজকর্মও স্বাভাবিক হতে থাকে। এই ইনসুলিন হরমোন ঠিকঠাক কাজ করলে রক্তে সুগারের মাত্রাও কিন্তু স্বাভাবিক থাকে।

Advertisement

ব্লাড প্রেসারের প্রধান কারণ হলো শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব। আর আমন্ড হলো ম্যাগনেসিয়ামের সম্ভার। ফলে নিয়মিত আমন্ড খেলেই কিন্তু এই ম্যাগনেসিয়ামের অভাব মেটানো সম্ভব। হাই ব্লাড প্রেশারে হার্ট অ্যাটাক, কিডনির সমস্যার মতো দুর্ঘটনাও কিন্তু ঘটতে পারে। তাই অবশ্যই প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার।

প্রোটিন আর ফাইবার জাতীয় খাবার খেলে আপনার পেট ভরা থাকে অনেকক্ষণ। আমন্ডে এই দুটোই রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ। তাই নিয়মিত আমন্ড খেলে বেশ কয়েক ঘণ্টা শরীরের প্রয়োজন পড়বে না অন্য কোনো খাবারের।

এইচএন/পিআর

Advertisement