আন্তর্জাতিক

চাকরির লোভ দেখিয়ে ৬০০ নারীর নগ্ন ভিডিও

নামকরা একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তিনি। ভুয়া জনবল নিয়োগের একটি অফিস খুলে ব্যবসা করতেন। পাঁচ তারকা হোটেলে চাকরির লোভ দেখিয়ে শত শত নারীর কাছ থেকে নিয়েছেন নগ্ন ছবি এবং ভিডিও। তারপর সেগুলো দিয়ে ওই নারীদের কাছ থেকেই আদায় করছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। ঘটনাটি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাডুর রাজধানী চেন্নাই শহরের। পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তির বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছেন দেশটির ১৬টি রাজ্যের ছয় শতাধিক নারী। তিনি সেসব নারীদের কাছ থেকে নানা কৌশলে নগ্ন ছবি-ভিডিও তৈরি করতেন।

Advertisement

দেশটির গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রতারক ওই ব্যক্তির নাম ক্লেমেন্ট রাজ চেঝিয়ান ওরফে প্রদীপ। শত শত নারীর কাছ নেয়া নগ্ন ছবি-ভিডিও তিনি সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে এসব অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রদীপ নামের ওই ব্যক্তি যে অফিসের মাধ্যমে এসব করতেন সেটা চলতো মূলত রাতে। ভূক্তভোগী স্থানীয় এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার চেন্নাইয়ের সাইবারাবাদ পুলিশ অভিযুক্ত ক্লেমেন্ট ওরফে প্রদীপকে তার চেন্নাইয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ বলছে, অনেকদিন থেকেই ওই ‘ব্যবসা’ করছিলেন তিনি। পাঁচ তারকা হোটেলে চাকরি দেবেন বলে লোভ দেখাতেন ভূক্তভোগী সেসব নারীকে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করেছেন।

Advertisement

পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দীতে তিনি জানিয়েছেন, নারী আবেদনকারীদের কাছ থেকে প্রথমে মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করতেন। অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লিসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে অনেক নারী তাকে নগ্ন ছবি এবং ভিডিও পাঠিয়েছেন।

পুলিশকে প্রদীপ নামের ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে পরিচয় দিতেন একটি নামকরা পাঁচ তারা হোটেলের ম্যানেজার। তারপর তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করতেন। তারপর তাদের ডেকে স্বাক্ষাতকার নিতেন। তাকে সাহায্য করতেন অর্চনা জগদীশ নামে অপর এক নারী।

পুলিশেরেএক তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, স্বাক্ষাতকারের পরই অচেনা একটি ফোন নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে সেসব নারীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও পাঠাতে বলতেন। কারণ হিসাবে বলতেন, অভিজাত মানুষের সঙ্গে মিশতে হলে আগেই এসব করতে হবে। এটাই পরীক্ষা!

তবে ঘটনার শেষ সেখানেই নয়, আবেদনকারী সেসব নারীকে ভিডিও কলে নগ্ন হতে বলতেন। আর সেই দৃশ্য অন্য একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে রেকর্ড করতেন। ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ কমিশনার এস রবি কুমার বলেছেন, ‘যেসব গ্যাজেট উদ্ধার হয়েছে, সেগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে।’

Advertisement

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

এসএ/এমকেএইচ