জাতীয়

নির্ধারিত স্থান ফাঁকা, রাস্তায় হলো কোরবানি

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে পশু কোরবানির জন্য ৬৪৫টি স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হলেও সেগুলো ছিল ফাঁকা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানগুলো পশুশূন্য দেখা যায়। অথচ নির্ধারিত স্থানের পাশের সড়কেই গরু কোরবানির চিত্র দেখা গেছে।

Advertisement

সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বলছেন, রাস্তার পাশে যত্রতত্র পশু কোরবানি করায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তাদের প্রচুর বেগ পেতে হচ্ছে। গত কয়েকবছর ধরে স্থান নির্ধারণ করার পরও কোনো ধরনের সাড়া পাচ্ছে না সিটি কর্পোরেশন। এক্ষেত্রে প্রচারের অভাবকেও দায়ী করছেন কেউ কেউ।

রাজধানীর নিউ ইস্কাটন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করার আগ্রহ নেই কারও। অথচ আশপাশের প্রায় প্রতিটি বাড়ির সামনে, বাড়ির গ্যারেজে কোরবানি দিতে দেখা গেছে।

মগবাজার এলাকার বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিবছর এলাকার ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনেই প্যান্ডেল টাঙ্গানো হয়। অনেকে এটার ভেতর গরু বেঁধে রাখে। অনেকসময় এটি খালি দেখা যায়। আমি এই বছরই প্রথম জানলাম যে এটি কোরবানি দেয়ার নির্ধারিত স্থান। তবে আমাদের সবার উচিত সিটি কর্পোরেশনকে সাহায্য করা, সবাই একসঙ্গে এখানে কোরবানি দিলে বর্জ্য এদিক-ওদিক পড়ে থাকবে না।

Advertisement

রাজধানীর কল্যাণপুরের বাসিন্দা ইমামুল হক বাসার সামনের সড়কে গরু কোরবানি দিয়েছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থানে গিয়ে কোরবানির পর অত দূর থেকে মাংস নিয়ে আসা অসুবিধা হয়। সে কারণে বাসার সামনেই কোরবানি করি। আমাদের এই এলাকার কেউই নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিতে যায়নি।

সবুজবাগের বাসাবো এলাকার বাসিন্দা এজাজ আহমেদ বলেন, শুধু নির্ধারিত স্থান ঠিক করলেই তো হবে না, সেটা বাসার কাছাকাছিও হতে হবে। এসব স্থান দূরে হলে তো আনা-নেয়ার সমস্যা হয়ে যায়। কে কষ্ট করে দূরে গিয়ে কোরবানি করবে?

এর আগে এক অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৫টি পশু কোরবানির নির্ধারিত স্থান রয়েছে। সেখানে প্যান্ডেল, পানি, ইমাম-কসাইসহ যাবতীয় ব্যবস্থা রাখা হবে। আপনারা অনুগ্রহ করে সেখানে পশু কোরবানি করবেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটাপন্ন। যদি কোরবানির বর্জ্য, পানি, রক্ত ইত্যাদি অপসারণ না করা হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। কারও এলাকায় যদি বর্জ্য থেকে যায় তাহলে তিনি হটলাইনে (০৯৬১১০০০৯৯৯) ফোন দেবেন। হটলাইনে অপারেটররা আপনার বাসা-বাড়ি কিংবা এলাকায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী পাঠিয়ে দেবেন। এছাড়া বর্জ্য অপসারণের সার্বিক কাজ ফেসবুকে তদারকি করা হবে।

Advertisement

এআর/বিএ/পিআর