রাজধানীর কমলাপুর কোরবানির পশুর হাটের অর্গানিক (প্রাকৃতিক) উপায়ে প্রস্তুতকৃত গরু নিয়ে এসেছেন আমেরিকা প্রবাসী খালেদ। লাল সিন্ধি, দেশাল, শাহিওয়ালসহ বিভিন্ন জাতের ষাড় গরু এক থেকে দুই লাখ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।
Advertisement
কমলাপুর হাটে কথা হয় খালেদের সঙ্গে। আমেরিকা প্রবাসী তরুণ এ উদ্যোক্তা জাগো নিউজকে বলেন, কোরবানি ঈদ উপলক্ষে ২৩টি ষাড় পুরোপুরি ন্যাচারাল বা অর্গানিক (প্রাকৃতিক) উপায়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। গরুগুলো দেখতে সন্দুর ও আকর্ষণীয়। কোরবানিতে মানুষের পছন্দ হয় এ রকম গরু আমরা নিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, ঢাকার পাশে নারায়ণগঞ্জে ‘অর্গানো অ্যাগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ফার্ম’ রয়েছে আমাদের। দুই বন্ধু মিলে প্রতিষ্ঠা করেছি ফার্মটি। আমি আমেরিকা থাকি। আরেক বন্ধু রাজন দেশে ফার্ম দেখভাল করে। এবার আমরা ২৩টি ষাড় অর্গানিক উপায়ে মোটাতাজাকরণ করেছি। কমলাপুর হাটে ২৩টি গরু বিক্রির জন্য এনেছি। এখানে সর্বোচ্চ দুই লাখ থেকে সর্বনিম্ন এক লাখ টাকায় গরু বিক্রি করছি। ইতোমধ্যে তিনটি গরু বিক্রি হয়েছে। আশা করছি বাকিগুলোও বিক্রি হয়ে যাবে। কারণ আমাদের গরুগুলোতে কোনো ক্ষতিকর ওষুধ দেয়া হয়নি। দেখতেও আকর্ষণীয় ও খুব সুন্দর। সবার পছন্দ হচ্ছে দামও বলছে। কাঙ্ক্ষিত দাম পেলে বিক্রি করে দেব।
খালেদ বলেন, এবার ২৩টি গরু প্রস্তুত করেছি। আগামী কোরবানিতে ১৫০ গরু প্রস্তুত করার ইচ্ছে আছে। ভবিষ্যতে খাঁটি গরুর দুধও উৎপাদন করব। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি। আমরা নিজস্ব জমিতে ঘাস উৎপাদন করছি। এছাড়া বাজারের পূর্বপ্রস্তুতকৃত খাবার বাদ দিয়ে, অভিজ্ঞ পশুচিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে নিজেদের ফর্মুলায় (৭টি উপাদান মিশ্রণ করে) উন্নতমানের ফিড তৈরি করে গরুকে খাবার দিয়েছি। কৃত্রিম উপায়ে হৃষ্টপুষ্ট গরুর তুলনায় এই গরুর চাহিদা, মাংসের স্বাদ এবং পুষ্টিমান অনেকগুণ বেশি। গরুগুলো ১০০ ভাগ হালাল।
Advertisement
দেশে ১৭ লাখ মেট্টিকটন মাংসের ঘটতি রয়েছে উল্লেখ করে খালেদ বলেন, এ চাহিদা পূরণে অনেক শিক্ষিত তরুণ অ্যাগ্রো প্রতিষ্ঠান করছে। আমরা সাদেক অ্যাগ্রো দেখে উৎসাহিত হয়েছি। আগামীতে দুধ সরবরাহসহ পোল্ট্রি ও মাছও উৎপাদন করা হবে।
এসআই/বিএ/জেআইএম