ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীতে মৌসুমি গবাদিপশুর খাদ্যসামগ্রী (গো-খাদ্য) বিক্রেতাদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। এসব মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাটে ও আনাচে কানাচে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী খড়, ঘাস, ধানের কুড়া, গমের ভূষি, ডাবলি ও বুট সাজিয়ে নিয়ে বসেছেন। ভিন্ন পেশার এ সব লোকজন দু-তিন দিন বেচাকেনা করে বাড়তি মুনাফার আশায় মৌসুমি এ ব্যবসায় নেমেছেন।
Advertisement
গত দুদিন ধরে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে গো-খাদ্য সাজিয়ে নিয়ে বসলেও বেচাকেনা নেই বললেই চলে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। অন্য বছর কয়েকদিন আগে থেকেই গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন পশু বিক্রি শুরু হলেও এ বছর এখনও কোরবানি পশু বেচাকেনায় শুরু হয়নি। বেচাকেনা না হওয়ায় তাদের মন ভালো নেই।
লালবাগের চাদনিঘাট এলাকায় গো-খাদ্য পসরা সাজিয়েছিলেন ৭৫ বছর বয়সী আবদুল হাই। সারাবছর পেয়ারা, আমরা ও জাম্বুরা বিক্রি করলেও গত দুই বছর ধরে কোরবানির ঈদের সময় গো-খাদ্য বিক্রি করেন। ২/৩ দিন ভালো বেচাকেনা হলে হাজার পাচেক টাকা লাভ থাকে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, খড় এক মুঠো ১০ টাকা, ঘাস এক মুঠো ১০ টাকা, ধানের কুড়া প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা, গমের ভূষি প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ডাবলি প্রতিকেজি ৫০ টাকা ও বুট প্রতিকেজি ৬০ টাকা। শুক্রবার জুমার নামাজের পর আবদুল হাই ঘণ্টা দেড়েক বসে থেকে একটি টাকার গো-খাদ্য বিক্রি করতে পারেননি বলে জানান।
Advertisement
আজিমপুর ছাপড়া মসজিদের সামনে গো-খাদ্য বিক্রেতা জুয়েল রানা জানান, অন্য বছর ঈদের পাঁচ-ছয় দিন আগে থেকেই মানুষ গরু ছাগল কিনতো। কিন্তু এবার কেন জানি দুদিন আগেও নগরবাসী গরু-ছাগল কেনায় তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তবে আগামীকাল থেকে পশুরহাট জমে উঠবে এবং তাদের পণ্যসামগ্রীরও বেচাকেনা বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।
এমইউ/জেএইচ