দেশজুড়ে

যানজট নেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে

বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত মহাসড়কে ট্রাকসহ অন্যান্য গাড়ির চাপ কমলেও বেড়েছে বাসের চাপ। কিন্তু এখনও মহাসড়কের কোনো অংশে যানজট নেই বলে জানান ময়মনসিংহগামী আলম এশিয়া পরিবহনের চালক আমিনুল ইসলাম।

Advertisement

তিনি আরও জানান, ঢাকা থেকে বের হওয়ার পর টঙ্গী, ষ্টেশন রোড, মিল গেট, চেরাগ আলী, কলেজ গেট, হোসেন মার্কেট, গাজীপুরা, তারগাছ, বড়বাড়ি, বোর্ড বাজার, হারিকেন ফ্যাক্টরি ও মালেকের বাড়িতে থেমে থেমে যানজট হচ্ছে। এতে সময় নষ্ট হওয়ায় পাশাপাশি বেড়েছে দুর্ভোগ।

ইসলাম পরিবহনের বাস চালক সোহেল রানা জানান, টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার সড়কে জুড়ইে চলছে বিআরটি প্রজেক্টের কাজ। ওই অংশের মহাসড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। এতে দ্রুতগতির গাড়িগুলো ধীরে ধীরে চলছে। আর লোকাল বাসগুলো মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করানোয় যানজট বাড়ছে।

ময়মনসিংহগামী যাত্রী মমিনুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত হলেও সড়ক ব্যবস্থাপনা জোরালো না করায় কোথাও কোথাও থেমে থেমে যানজটের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। মহাসড়কে যত্রতত্র লোকাল বাস দাঁড়নো, মহাসড়কের পাশে ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখায় যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সড়কে দুর্ঘটনার পাশাপাশি ছোট-বড় যানজট পোহাতে হচ্ছে। পুলিশ যদি আরও দায়িত্বশীল ভাবে কাজ করতো তাহলে দুর্ভোগ ছাড়াই ঘরে ফিরতে পারতেন ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীরা।

Advertisement

মাওনা হাইওয়ে থানার এসআই সুজন কুমার পণ্ডিত জানান, ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে হাইওয়ে থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও কাজ করছে। মহাসড়কের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, কোনোভাবে কোনো অবস্থাতেই মহাসড়কে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না।

সালনা হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ একেএম কাওসার জানান, রাজেন্দ্রপুর থেকে ভবানীপুর পর্যন্ত কোনো অংশে যানজটের লেশমাত্র নেই। যানজট ঠেকাতে প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ মোতায়েন ও টহল পুলিশ রাখা হয়েছে।

শিহাব খান/এমএমজেড/পিআর

Advertisement