খেলাধুলা

অবশেষে নেইমারকে নিতে রাজি হলো বার্সা!

তবে কি ন্যু ক্যাম্পেই ফিরছেন নেইমার? বার্সেলোনার ঘনিষ্ঠ স্প্যানিশ ক্রীড়া সাংবাদিক আলবার্ট রগের দাবি, ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) থেকে নিজেদের দলে ভেড়াচ্ছে বার্সা। তবে সেটা বদলাবদলিতে।

Advertisement

নেইমারের জন্য ইভান রাকিতিচকে ছাড়তে রাজি বার্সেলোনা। তবে নেইমারের যে দাম, তাতে পিএসজি তারকাকে দলে টানতে রাকিতিচের সঙ্গে বাড়তি টাকাও যোগ করতে হবে তাদের।

রগের লিখা প্রতিবেদনে এসেছে, বার্সেলোনা নেইমারকে আপাতত ধারে দলে নিতে চায়। এরপর ২০২০-২১ মৌসুমে চুক্তি হবে স্থায়ীভাবে।

২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে ছুটিয়ে আনতে পিএসজি খরচ করেছিল ২২২ মিলিয়ন ইউরো। এরপর নদীর জল অনেকদূর গড়িয়েছে। ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক আগের মতো না থাকায় প্রকাশ্যেই নেইমার জানিয়ে দিয়েছেন, পিএসজি ছাড়তে চান।

Advertisement

এদিকে নেইমারকে ফেরানোর আগ্রহ আছে বার্সেলোনার। খবর বেরিয়েছে, বার্সা সুপারস্টার লিওনেল মেসিই নাকি খুব করেই ফেরত চাইছেন এই ফরোয়ার্ডকে। বার্সার এই আগ্রহের সঙ্গে দামে মিলছিল না। পিএসজি যে চড়া মূল্য থেকে সরে আসেনি!

যে ক'টি ক্লাব নেইমারকে চেয়েছে, তার মধ্যে সবার উপরে বার্সেলোনা। কিন্তু স্প্যানিশ জায়ান্টদের কাছে দাবি করা হয়েছিল ৩০০ মিলিয়ন ইউরো। এত দাম দিয়ে আবার নেইমারকে কেনাও কষ্টকর বার্সার জন্য। তাই কথাবার্তা এগোয়নি। পরে আবারও খবর বেরোয়, নেইমারের দাম কমিয়ে ১৮০ মিলিয়ন ইউরো করে দিয়েছে পিএসজি। তারা পুরো টাকাটাই নগদ চাইছিল, ফলে কারো সঙ্গে বনিবনা হয়নি।

মঙ্গলবার প্রকাশিত স্প্যানিশ সাংবাদিক রগের লেখা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে এবার বদলাবদলিতে রাজি হয়েছে পিএসজি। বার্সা থেকে তারা চায় ইভান রাকিতিচকে। তার সঙ্গে টাকা জুড়ে দিতে হবে।

ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার রাকিতিচ ২০১৮ সালে ফিফা বিশ্বকাপে জাতীয় দলকে রানারআপ করায় বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। কিন্তু পরে বার্সেলোনায় তার ফর্ম একেবারেই পড়ে যায়। তাই বার্সাও তাকে রাখতে চাইছে না। এবার 'দুয়ে দুয়ে চার' মিলে গেলেই নেইমারকে দেখা যেতে পারে ন্যু ক্যাম্পে।

Advertisement

En la operación Neymar (cesión + compra obligatoria próxima temporada) podría entrar Rakitic. El PSG ya está tanteando al croata #fcblive pic.twitter.com/7dDScXkKM6

— Albert Rogé (@albert_roge) August 6, 2019

এমএমআর/জেআইএম