বিকেল ৩টায় শুরু হবে আড্ডা। তাই নির্ধারিত সময়ের আগেই ভিড় জমতে থাকে পাঠকের। তরুণ লেখক সাদাত হোসাইনকে ঘিরে উপস্থিত হতে থাকেন সববয়সী পাঠক। হাজির হন চিত্রনায়ক, কণ্ঠশিল্পী, চলচ্চিত্র পরিচালক, কবি ও লেখকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
Advertisement
শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের চিত্র ছিল এমন। নীল হুরেরজাহানের উপস্থাপনায় শুরু হয় গল্প-আড্ডা-প্রশ্নোত্তর পর্ব। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, কণ্ঠশিল্পী বেলাল খান, পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোল, রকমারির হেড অব কমিউনিকেশন মাহমুদুল হাসান সাদি এবং অন্যধারার প্রকাশক মনির হোসেন পিন্টু।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ বলা যায় কণ্ঠশিল্পী বেলাল খানের কণ্ঠে সাদাত হোসাইনের লেখা গান। গানটি এখনো প্রকাশিত হয়নি। ঈদুল আজহার পরে শ্রোতারা শুনতে পারবেন। এটি বেলাল খানের কণ্ঠে তার প্রথম গান। ফোক ধাঁচের গানটি হলো, ‘তুমি আসমান হইয়া ঝড় বহাইলা, নদী হইয়া বান, আমার একজীবনে দুঃখ জমা আসমানও সমান’।
> আরও পড়ুন- সাহিত্য ডিক্টেটরশিপের জায়গা নয় : সাদাত হোসাইন
Advertisement
গল্প-আড্ডা-প্রশ্ন-কুইজে সাজানো অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল রকমারি ডটকম ও প্রকাশনা সংস্থা অন্যধারা। অনুষ্ঠানে আগত পাঠকরা তাদের প্রিয় লেখককে লেখালেখির বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সাদাত হোসাইন। এসময় তিনি সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আশ্বাস দেন। বলেন তার লেখক হয়ে ওঠার গল্প। জীবনের করুণ বাস্তবতা ও টানাপড়েন তুলে ধরেন পাঠকের সামনে। জবাব দেন বিভিন্ন সময় ফেসবুকে করা সমালোচনারও।
সবশেষে ‘পাঠক লিখবে নির্বাসন’ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত ২০ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া সেরা তিন জনকে মূল্যবান বই পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়। অন্যধারার প্রকাশক নির্বাচিত ২০ জনের বই প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দেন। রকমারি ডটকম ভবিষ্যতে আরও অনুষ্ঠান করার প্রতিশ্রুতি দেন।
কুইজ পর্বে সাদাত হোসাইনের সাহিত্যকর্ম থেকে সেরা দশটি প্রশ্ন করা হয়। সঠিক উত্তরদাতাদের পুরস্কার হিসেবে বই দেওয়া হয়। সন্ধ্যা সাতটায়ও যেন আড্ডা শেষ হতে চায় না। আনুষ্ঠানিক আড্ডা শেষে শুরু হয় বই ও অটোগ্রাফ সংগ্রহ এবং ছবি তোলার পালা। অঘোষিত এ পর্ব চলে রাত নয়টা পর্যন্ত।
> আরও পড়ুন- হতাশাই আমার অনুপ্রেরণা : সাদাত হোসাইন
Advertisement
অনুষ্ঠান শেষে সাদাত হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, ‘একটি অসাধারণ মুহূর্ত কাটালাম। এজন্য আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। পাঠকরা এতে উপস্থিত হয়ে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। তাই তাদের প্রতি অশেষ ভালোবাসা। মূলত পাঠকরাই লেখকের অনুপ্রেরণা। সরাসরি পাঠকের পরামর্শ পেয়ে আমি আরও সমৃদ্ধ হলাম।’
এসইউ/এমকেএইচ