দেশজুড়ে

মুয়াজ্জিন ডেকেছেন সৎপথে, জিয়া-মোশতাক গুলি করেছেন বঙ্গবন্ধুকে

জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মুয়াজ্জিন যখন ফজরের নামাজের আজান দিচ্ছিলেন, মুয়াজ্জিন যখন বলছিলেন- ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম, সৎ এবং আলোর পথে এসো। ঠিক তখন জিয়া-মোশতাকদের কতিপয় বিপথগামী সৈনিক নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের গুলি করে হত্যা করেছিল।

Advertisement

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে থেমে থাকেনি তারা। সেই সঙ্গে হত্যার বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল। কি অপরাধ ছিল বঙ্গবন্ধু ও শিশু শেখ রাসেলের। কেন তাদের হত্যা করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার দিনাজপুর বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।আলোচনা শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়।

এ সময় হুইপ ইকবালুর রহিম, মানুষ হত্যা করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা কোরআন ও হাদিসের কোন স্থানে আছে। জিয়া-মোশতাকদের উদ্দেশ্য ছিল দেশকে লুটেপুটে স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের খুশি করা। পরবর্তীতে সেভাবেই দেশ চালান আরেক দেশবিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার নির্দেশে ব্যাংক, বীমা, ট্রাক-বাসে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট ও মানুষকে হত্যা করা হয়। এমনকি দৈনিক করতোয়াসহ বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সন্ত্রাস ও অগ্নিসংযোগ ও বোমা হামলা করে জঙ্গিদের উৎসাহিত করা হয়। সারাদেশ অস্থিতিশীল করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসবে বিচলিত হননি। তিনি কঠোরভাবে হত্যা, সন্ত্রাস ও অগ্নিসংযোগসহ বিএনপি-জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করেছেন। দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে নিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা।

Advertisement

দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলমের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশন দিনাজপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. রাজিউর রহমান, দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) কাজেম উদ্দীন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইমদাদ সরকার, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্জন ও ছানাপীর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. মতিউর রহমান কাসেমী প্রমুখ।

এমদাদুল হক মিলন/এএম/পিআর