দেশজুড়ে

প্রস্তুতি ছাড়াই রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্নার!

কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে খোলা হয়েছে ডেঙ্গু কর্নার। নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক। এমনকি কোনো ধরনের বিশেষ প্রশিক্ষণ ছাড়াই সেবা দিচ্ছেন নার্সরা। এতে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের মাঝে। তবে সাধ্যমত সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

রামেক হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালের ১৭ নম্বর কেবিনে প্রথম ডেঙ্গু কর্নার চালু হয়। এই কেবিনটি সংক্রামক রোগে আক্রান্তদের জন্য বরাদ্দ। গত দুই দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বাড়ায় পাশের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডেও বর্ধিত করা হয় ডেঙ্গু কর্নার।

এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত ১১ জন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন দুজন।

হাসপাতালে ভর্তি সাইদুল ইসলাম জানান, তিনি ঢাকায় একটি রং কোম্পানির কর্মী। সেখানেই তিনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। বাড়িতে এসে রোগ ধরা পড়ার পর তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক।

Advertisement

রোগীদের অভিযোগ, ডেঙ্গু কর্নারে চিকিৎসকদের দেখা নেই বললেই চলে। এমনকি নেই বাড়তি কোনো সুযোগ সুবিধাও। নার্সরা কোনো রকমে সেবা দিচ্ছেন রোগীদের।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন এই ইউনিটের সিনিয়র স্টাফ নার্স লুৎফুন্নেসা। তিনি জানান, প্রতিদিন সকালে এখানে রাউন্ড দিয়ে যান চিকিৎসকরা। তবে জরুরি প্রয়োজনে পাওয়া যাচ্ছে না তাদের। রোগীদের সেবায় ১২ জন নার্স দায়িত্ব পালন করছেন এখানে।

তিনি আরও বলেন, ১৭ নম্বর কেবিনটি মূলত সংক্রামক রোগীদের জন্যই বরাদ্দ। এর আগে নিপাহ ভাইরাস আক্রান্তরা এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন সেখানে ডেঙ্গু কর্নার খোলা হয়েছে। বিশেষ এই সেবা কার্যক্রমের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ নেই তাদের। তবুও তারা সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, রোগী বাড়ায় হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্নারের আসন বাড়ানো হয়েছে। আরও বাড়ানোর প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। এখানে সরকারি খরচে সেবা পাচ্ছেন আক্রান্তরা। ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার কথাও জানান উপপরিচালক।

Advertisement

এদিকে রাজশাহীতে থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে ডেঙ্গু ঠেকাতে তৎপর নগর কর্তৃপক্ষ। জনসচেতনা বাড়ানোর পাশাপাশি বিশেষ কার্যক্রম শুরু করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।

বৃহস্পতিবার নগরীর ড্রেনে ড্রেনে মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংসে কীটনাশক প্রয়োগ করতে দেখা গেছে কর্মীদের। সকালে এই কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্যানেল মেয়র সরিফুল ইসলাম বাবু।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এফএ/এমএস