দুই মুক্তিযোদ্ধা এবং এক মৃত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেয়া সম্মানি ভাতা স্থগিত করা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, উপ-সচিব, সহকারী সচিবসহ ১১ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
Advertisement
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ মো. তারিকুল ইসলাম।
শেখ মো. তারিকুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। সেই পরিপত্রে বলা হয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত যে কোনো একটি প্রমাণে নাম উল্লেখ থাকলে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা প্রাপ্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন। ১.ভারতীয় তালিকা ২. লাল মুক্তিবার্তা ৩. বেসামরিক গেজেট ৪. বাহিনী গেজেট।
তবে, প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের (বামুস) সনদধারী কোনো ব্যক্তি/ব্যক্তিদের বা এ মন্ত্রণালয় হতে যাদের নামে মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র/মুক্তিযোদ্ধা সাময়িক সনদ ইস্যু করা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধ সম্মানী ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তাদের নাম চারটি প্রমাণে বর্ণিত যে কোনো একটিতে অবশ্যই থাকতে হবে।
Advertisement
আইনজীবী আরও জানান, এ পরিপত্রের কারণে ৪৭ হাজার মুক্তিযোদ্ধার ভাতা স্থগিত হয়ে যায়। এর মধ্যে কক্সবাজারের মহেশখালীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফিরোজ খান ও নাজির হোসেন এবং প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আক্য মংয়ের স্ত্রী মিশাং সংক্ষুব্ধ হয়ে পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।
শেখ মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, তাদের নাম মুক্তিবার্তায় ছিল। কিন্তু ওয়েবসাইটে সেটা আসেনি। এ ছাড়া তারা প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত সনদে ২০০০ সাল থেকে ভাতা পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু ২৪ এপ্রিলের পরিপত্রের কারণে তাদের ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে।
এফএইচ/জেডএ/জেআইএম
Advertisement