দেশজুড়ে

একে-অন্যকে ছেলেধরা বলে গণধোলাই খেলেন স্বামী-স্ত্রী

রাস্তায় স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করে একে-অন্যকে ‘ছেলেধরা’ বলে গণধোলাই খেয়েছেন উভয়ে। এ সময় গণধোলাই থেকে রেহাই পাননি তাদের সঙ্গে থাকা স্বামীর বন্ধুও।

Advertisement

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন : ছেলেধরা সন্দেহে নিহত রেনুর আমেরিকা যাওয়া হলো না

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিকশায় উঠেছেন স্বামী-স্ত্রী। তাদের সঙ্গে ছিলেন স্বামীর এক বন্ধু। তিনজনকে নিয়ে যখন রিকশাটি চলছিল তখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়।

Advertisement

তাদের ঝগড়ার বিষয় হলো দ্বিতীয় বিয়ে। স্ত্রী অভিযোগ তুলেছেন, তার স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছেন। স্বামী অস্বীকার করছিলেন বিষয়টি। এ নিয়ে রিকশায় বসে ঝগড়া করেন স্বামী-স্ত্রী। বার বার চেষ্টা করেও তাদের ঝগড়া থামাতে পারেননি স্বামীর বন্ধু।

আরও পড়ুন : ঘুরতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার ৪ বন্ধু, পিকআপে আগুন

এ অবস্থায় রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে রিকশা থেকে লাফ দিয়ে নেমে ‘ছেলেধরা-ছেলেধরা’ বলে চিৎকার শুরু করেন স্ত্রী। স্বামীও তখন স্ত্রীকে ইঙ্গিত করে পাল্টা ‘ছেলেধরা-ছেলেধরা’ বলে চিৎকার শুরু করেন। তাদের চিৎকার শুনে আশপাশে থাকা লোকজন দৌড়ে আসেন। সেই সঙ্গে কিছু লোকজন স্বামী এবং কিছু লোকজন স্ত্রীকে মারধর শুরু করেন। এ সময় মারধর থেকে বাদ পড়েননি রিকশায় থাকা স্বামীর বন্ধুও। গণধোলাইয়ের একপর্যায়ে পালিয়ে যান দুই পুরুষ। তবে ওই নারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন : ছেলেধরা আতঙ্কে গণপিটুনি এড়াতে যা করবেন

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই পুরুষ গণপিটুনি খেয়ে পালিয়ে গেলেও স্ত্রী জনতার হাতে ব্যাপক মারধরের শিকার হয়েছেন। বার বার ওই নারী আমি ‘ছেলেধরা’ না বললেও ছাড়েনি জনতা। পরে তাকে পুলিশে তুলে দেয়া হয়।

আরও পড়ুন : ছেলেধরা সন্দেহে অভিভাবককে গণপিটুনি : ৫শ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানা পুলিশের এসআই আমিনুল হক বলেন, শ্রীপুরের বেড়াইদেরচালা গ্ৰামের মুক্তিযোদ্ধা এবিএম তাজউদ্দিনের মেয়ে তানিয়া। তানিয়ার স্বামীর সঙ্গে কথাকাটাকাটির সময় ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে দুজনকে পিটিয়ে আহত করে এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে গিয়ে তানিয়াকে উদ্ধার করলেও তার স্বামী ও বন্ধু পালিয়ে যায়।

এএম/এমএস