দেশজুড়ে

থানায় ঘুমিয়েও শেষ রক্ষা হলো না আ.লীগ নেতা নজরুলের

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগড়দাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়নের ছোট জামতলা এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন তিনি।

Advertisement

নিহত নজরুল ইসলাম আগরদাড়ি ইউনিয়নের কুঁচপুকুর গ্রামের মৃত নেছার উদ্দিনের ছেলে ও আগরদাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

নিহতের ছেলে পলাশ হোসেন জানান, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিরোধ ছিল তার বাবার। এই বিরোধের জের ধরেই মেম্বর তৌহিদুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা তার বাবাকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছেন।

তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালের পর থেকে আজকের হত্যাকাণ্ডের আগ পর্যন্ত আমাদের পরিবারের ওপর ৯ বার সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। ২০১৩ সালে হামলায় আমার চাচা সিরাজুল ইসলাম ও ভাই যুবলীগ নেতা রাসেল নিহত হন। আমার বাবা নিরাপত্তাহীনতায় সেসময় সদর থানায় রাত্রীযাপন করতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা হলো না তার।’

Advertisement

হত্যাকাণ্ডের পর আগরদাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি জানান, নজরুল ইসলাম শহরের কদমতলা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ছোট জামতলা এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে এসে পেছন থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। একটি গুলি মাথায় ও আরেকটি গুলি বুকে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আওয়ামী লীগের এই নেতা।

সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, নজরুল ইসলাম আগরদাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তার মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও শনাক্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ। কী কারণে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে এখনও কিছু নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে পুলিশের টিম মাঠে রয়েছে।

আকরামুল ইসলাম/এফএ/পিআর

Advertisement