শরীয়তপুর সদর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে দেলোয়ার ছিপাই (৩৭) নামে এক ভ্যানচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Advertisement
শনিবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ মাহমুদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার দেলোয়ার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাহমুদপুর গ্রামের ইসমাইল ছিপাইর ছেলে। এর আগে শনিবার সকালে শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে দেলোয়ারের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
ধর্ষণের শিকার মাদরাসাছাত্রী জানায়, ২৮ মে মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিবেশী দেলোয়ার ছিপাইর বাড়ির টিউবওয়েলে গোসল করতে যায় ওই কিশোরী। তখন মুষলধারে বৃষ্টি ছিল। টিউবওয়েলের চারদিকে টিনের বেড়া দেয়া ছিল। ওই সময় আশপাশে লোকজন না থাকায় ওঁৎ পেতে থাকা দেলোয়ার টিনের বেড়ার ভেতর ঢুকে টিউবওয়েলের ফ্লোরে ফেলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয় দেলোয়ার।
ভয়ে এতদিন কাউকে কিছু বলেনি কিশোরী। ১৬ জুলাই মঙ্গলবার অসুস্থ হয়ে পড়লে কিশোরীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। তখন চিকিৎসকরা জানান, কিশোরী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি লোকমুখে জানাজানি হলে দেলোয়ারের পরিবার, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার বিষয়টি সমাধানের জন্য হাসপাতালে আসেন।
Advertisement
কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ের এ অবস্থার জন্য দেলোয়ার দায়ী। আমার ছোট্ট মেয়েটাকে ধর্ষণ করল ভ্যানচালক দেলোয়ার। তার বিরুদ্ধে আমি থানায় মামলা করেছি। তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। আমি এলাকায় মুখ দেখাব কি করে।’
মাহমুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ঢালী বলেন, ধর্ষণের ঘটনা আমরা সমাধান করতে পারি না। এর বিচার করবেন আদালত। ঘটনা শুনে শুক্রবার স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুনকে নিয়ে মেয়েটাকে দেখতে গিয়েছিলাম। যে মেয়েটার এ অবস্থা করেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পালং মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত দেলোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা কিনা জানতে সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা চলছে।
মো. ছগির হোসেন/এএম/এমএস
Advertisement