জাতীয়

বর্ষায় রোহিঙ্গাদের কষ্ট বেড়ে দ্বিগুণ!

 

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সমস্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। বিপদ কাটতে না কাটতে শুরু হয়েছে ঝড়, বৃষ্টি ও ভূমিধস। এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮ হাজার ৯১৭টি পরিবার। যার মধ্যে শুধু ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার ৯০টি ঘরবাড়ি।

Advertisement

পাশাপাশি ত্রাণকার্য চালানো এবং রোহিঙ্গাদের সেবা দেয়ার জন্য নির্মিত কেন্দ্রগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার ইউএনএইচসিআরের ব্যাংকক কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।

বলা হয়, এখনো বর্ষার মাত্র অর্ধেক পার হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ায় চলতি বছরে যে সহযোগিতা প্রয়োজন তা ইতোমধ্যে ২০১৮ সালের চাহিদার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী প্রয়োজনকে ছাড়িয়ে গেছে। মোট আর্থিক চাহিদার এক তৃতীয়াংশ এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আর্থিক এবং রাজনৈতিক দিক থেকে আরও প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।

বর্ষার প্রস্তুতি হিসেবে গত ১৮ মাসে অনেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যদিও ক্যাম্পগুলোকে আরো সুরক্ষিত করতে চলমান সম্পদের সংস্থান এবং শ্রমিক প্রয়োজন। যা সেভাবে দেয়া সম্ভব হয়ে ওঠছে না।

Advertisement

ইউএনএইচসিআর জানায়, বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রগুলো মেরামতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। বর্ষায় কক্সবাজারে প্রায় ১০ লাখ অধিবাসী সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাবলুএফপি) নিজেরা, অংশীদার এবং শরণার্থী স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে অসুরক্ষিত মানুষগুলোকে নিরাপত্তাসহ জরুরি খাদ্য এবং তাদের ভবন, রাস্তা ও ঢালগুলো মেরামত করছে। বাংলাদেশের সরকারের নেতৃত্বে পুরো বছরজুড়ে বর্ষা মৌসুমের প্রস্তুতি নিয়ে আসছে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো।

আরও জানানো হয়, শরণার্থীরাই বর্ষায় তাদের রক্ষায় মূল ভূমিকা পালন করছে। বর্ষায় ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে নিয়ে আসা এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সচেতনতা বৃদ্ধিতে তারা একে অপরকে সহযোগিতা করছে। বর্তমানে সার্বিকভাবে ঝড়ের প্রভাব কিছুটা দুর্বল বলে মনে হচ্ছে।

জেপি/এমআরএম

Advertisement