শাড়ি বাঙালি নারীর প্রধান পরিধেয় বস্ত্র, তা সুপ্রাচীনকাল থেকেই। শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলেও শাড়ির প্রচলন আছে এবং তা নারীরাই ব্যবহার করেন।
Advertisement
তবে এর ব্যতিক্রম হিমাংশু বর্মা। ভারতের এই যুবক না রূপান্তরকামী, না অভিনেতা। কিন্তু তিনি ভালবাসেন শাড়ি পরতে। মনে করেন, মেয়েলি নয়, বরং, শাড়ি পূর্ণমাত্রায় পুরুষদের পোশাক। তাই গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শাড়িই পরেন ভারতের একমাত্র এই ‘শাড়ি ম্যান।’
হিমাংশু মনে করেন, শাড়িতে পুরুষত্ব বিন্দুমাত্র খাটো হয় না। যদি হতো, তা হলে অতীতের কোনো ভারতীয় পুরুষ, পুরুষ ছিলেন না। কারণ সে সময় মূল্যবান শাড়িই ছিল অভিজাত পুরুষের অঙ্গাবরণ। বেনারসী থেকে মসলিন, শাড়িকেই ধুতির মতো করে পরতেন রাজবংশীয়রা।
২০০৬ সাল থেকে শাড়ি পরছেন হিমাংশু। প্রথমবার পরেছিলেন মায়ের থেকে নিয়ে। এরপর হিমাংশু শাড়ির প্রেমে পড়ে যান। শাড়ি নিয়ে বহু পড়াশোনা করেছেন। জেনেছেন ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের শাড়ির রকমফের। গবেষণায় দেখিয়েছেন, আদি থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত শাড়িকেই বিভিন্ন কায়দায় অঙ্গে জড়িয়েছেন ভারতবাসী, নারী পুরুষ নির্বিশেষে।
Advertisement
হিমাংশুর এই শাড়ি পরার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। বিদ্রূপ ও বিরুদ্ধমত সত্ত্বেও আরও আপন করে নিয়েছেন শাড়িকেই। আলমারিতে আছে একশোর কাছাকাছি শাড়ি। যেখানেই বেড়াতে যান, কিনে ফেলেন পছন্দসই শাড়ি।
বিভিন্ন কায়দায় শাড়ি পরেন হিমাংশু। সবচেয়ে ভালবাসেন গুজরাতি কায়দায় শাড়ি পরতে। দৈনন্দিন কাজের জন্য পছন্দ শাড়ি পরার ‘ঠাকুরবাড়ি স্টাইল’ বা দক্ষিণী কেতা।
সূত্র : আনন্দবাজার।
এনএফ/জেআইএম
Advertisement