জাতীয়

যাত্রাবাড়ীতে ৮৮ সালের বন্যা, স্রোতে ভেসে যাচ্ছে কুমড়া

তীব্র পানির স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে শতশত মিষ্টি কুমড়া। ভেসে যাওয়া কুমড়া উদ্ধারে পিছু পিছু ছুটছেন কয়েকজন নারী ও পুরুষ। অদূর থেকে উচ্চ কণ্ঠে কয়েক যুবক চিৎকার করে বলছেন, ‘হায় হায় রে, আহেন দেইখ্যা যান, যাত্রাবাড়িতে ৮৮ সালের বন্যা।’

Advertisement

যুবকদের একজন তার পরিচিত একজনকে উদ্দেশ করে বলছিলেন, ‘সাবধান! খেয়াল কইরো, পানি থাইক্যা কুমড়া তুলতে গিয়ে আবার পকেটের মোবাইল না পইড়া যায়।’

আজ শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ১টায় যাত্রাবাড়ি কাঁচাবাজার আড়তের সামনে এমন এক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি এ পর্যন্ত দেখেছেন ৭ হাজার ৯০০ জন। শেয়ার হয়েছে ৫ হাজারের বেশি। মন্তব্য করেছেন ৩০০ জন।

Advertisement

রাজধানীর অন্যতম কাঁচামালের এ আড়তে সকাল থেকে রাত অবধি বিভিন্ন শাকসবজি ও ফলমূলের বেচাকেনা চলে। আড়তের ভেতর ছাড়াও বাইরে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী সাজিয়ে রাখা হয়।

দুপুর আনুমানিক ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত রাজধানীতে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, ৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

মুষলধারে বৃষ্টিতে মূল সড়কের উত্তর পার্শ্বে অপেক্ষাকৃত একটু নিচু স্থানে অবস্থিত এ আড়তে বৃষ্টিতে পানি জমতে থাকে। একপর্যায়ে পানি নেমে যাওয়ার সময় প্রবল স্রোত আড়তের বাইরে থাকা কুমড়া বিভিন্ন কাঁচা পণ্যসামগ্রী ভাসিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। এ সময় ব্যবসায়ীদেরকে বৃষ্টিতে ভিজেই তাদের মালামাল পানি থেকে উদ্ধার করে আড়তের ভেতর নিয়ে যেতে দেখা যায়।

কেউ কেউ কৌতুকের ছলে এ বৃষ্টিকে ১৯৮৮ সালের বন্যার সঙ্গে তুলনা করেন। তারা বলেন, আজ মুষলধারে বৃষ্টির কারণে যাত্রাবাড়ি এলাকায় ৮৮ সালের বন্যার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

এমইউ/এসআর/পিআর