আন্তর্জাতিক

পরমাণু চুক্তি রক্ষায় ইরানের পাশে ফ্রান্স

ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি রক্ষায় কী ধরনের শর্ত নিয়ে আবার আলাপ শুরু করা যায় সে বিষয়ে ফ্রান্স ও ইরান একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের এমানুয়েল ম্যাঁক্রো।

Advertisement

এ নিয়ে ম্যাঁক্রোর সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে টেলিফোনে আলাপ হয়েছে। এর ফলে তেহরানের পারমাণবিক চুক্তি রক্ষায় নতুন করে আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা তৈরি হলো।

প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে টেলিফোনে এই আলাপের সময় ম্যাঁক্রো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তিটি পরিত্যক্ত হলে তার অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিণতি তৈরি হবে।

২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচী কমিয়ে আনার জন্য বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর সাথে একটি চুক্তি হয়। সে সময় ইরানকে শর্ত দেয়া হয়েছিল যে, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচী কমিয়ে আনার বিনিময়ে তার উপর দেয়া অবরোধ ধীরে ধীরে তুলে নেয়া হবে।

Advertisement

সেই শর্ত রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।গত বছর যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর থেকে চুক্তিটি পরিত্যক্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের উপর কঠোর শাস্তিমূলক অবরোধ আরোপ করেছে। গত মে মাসে ইউরেনিয়াম মজুদ বাড়িয়ে ইরান এর জবাব দিয়েছে।

ইরান এই ইউরেনিয়াম পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরের জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করে। তবে তারা পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

চুক্তি অনুযায়ী, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা যায় এই মানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ করতে পারবে না। কিন্তু যতটুক ইউরেনিয়াম ইরান মজুদ করতে পারবে তার বেশি ইতোমধ্যেই দেশটির কাছে এখন আছে এবং এর পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে বলে আজ একটি ঘোষণা ইরান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আসতে পারে।

Advertisement

ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পারমাণবিক চুক্তি রক্ষায় সব পক্ষের সাথে আবার আলাপ শুরু করতে কি ধরনের শর্ত থাকতে পারে সে বিষয়ে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বিশ্লেষণ শেষ করবে ইরান ও ফ্রান্স।

ম্যাঁক্রো সব পক্ষের সাথে সে ব্যাপারে পরামর্শ করবেন। ইরান তার উপর আরোপ করা অবরোধ শিথিল করতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চীনকে রোববার পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিল। এখনও এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি।

টিটিএন/জেআইএম