বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ডের মরদেহ দেখতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ঢল নেমেছে সাধারণ মানুষের। সেই ঢল সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকেও। পরে লাইনে দাঁড় করে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষকে নয়ন বন্ডের মরদেহ দেখার সুযোগ করে দেয় পুলিশ। এ সময় নয়ন বন্ডের মরদেহ দেখতে আসা সাধারণ মানুষের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
Advertisement
গণমাধ্যমে নয়ন বন্ডের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরপরই বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গ ও এর আশপাশ এলাকায় অবস্থান নেয় উৎসুক সাধারণ মানুষ। পরে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থল থেকে সকাল ৭টার দিকে নয়ন বন্ডের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে পুলিশ। সেই থেকে দুপুর ১২টা ২০ মিনিট এই রিপোর্টে লেখা পর্যন্ত নারী-পুরুষসহ কয়েক হাজার মানুষ নয়ন বন্ডের মরদেহ দেখেছে বলে জানিয়েছে মর্গ প্রাঙ্গণ দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা।
নয়ন বন্ডের মরদেহ দেখতে আসা ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রিফাত শরীফকে কীভাবে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা ভিডিওতে দেখেছি। কিন্তু নয়ন বন্ড কীভাবে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে তাতো দেখতে পারিনি। তাই ওর গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখতে এসেছি।
বরগুনার নারী নেত্রী ও উন্নয়ন কর্মী হোসনে আরা হাসি জাগো নিউজকে বলেন, নয়ন বন্ডের মৃত্যুর খবর নিঃসন্দেহে স্বস্তির। এ স্বস্তি শুধু আমার একার নয়, পুরো বরগুনাবাসীর। তবে নয়ন বন্ডকে জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার করা সম্ভব হলে ওর বাহিনী সম্পর্কে সব তথ্য পেয়ে পুলিশ বাহিনীটিকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারতো।
Advertisement
এ বিষয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, পুলিশের করা নয়ন বন্ডের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্টটি আমরা এখনো পাইনি। এই রিপোর্ট পেলেই আমরা নয়ন বন্ডের মরদেহের ময়নাতদন্ত শুরু করব।
সাইফুল ইসলাম মিরাজ/আরএআর/এমএস