নিখোঁজের ৮ দিন পরও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) ইন্টার্ন চিকিৎসক এএসএম সাইদ সোহাগের সন্ধান মেলেনি।
Advertisement
এমবিবিএস পাসের পর ইন্টার্নশিপের পাশাপাশি তিনি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণ (পিজিটি) কোর্স করছিলেন। গত ২৩ জুন থেকে চিকিৎসক সাইদ সোহাগ নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজের পর তার বড় ভাই শামীম সরোয়ার কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
সাইদ সোহাগ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সরূপপুর এলাকার মৃত মশিউর রহমানের ছেলে।
বরিশাল কোতোয়ালি থানার সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রাসেল জানান, ২৩ জুন থেকে চিকিৎসক সাইদ সোহাগ নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজের আগে সাইদ সোহাগ তার মোবাইল ও মানিব্যাগ রেখে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) ইন্টার্ন ডাক্তার হোস্টেল থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তার আর সন্ধান মিলছে না। মোবাইল ফেলে যাওয়ায় তার খোঁজ পেতে বেগ পেতে হচ্ছে।
Advertisement
এসি মো. রাসেল জানান, সংশ্লিস্ট মোবাইল ফোন কোম্পানির কাছে সাইদ সোহাগের কললিস্ট চাওয়া হয়েছে। কললিস্ট হাতে পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে। আশা করা যায় দ্রুত চিকিৎসক সাইদ সোহাগের সন্ধান পাওয়া যাবে।
সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্ত করছেন কোতোয়ালি থানা পুলিশের এসআই আরাফাত হোসেন হাসান। তিনি বলেন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) ইন্টার্ন ডাক্তার হোস্টেলের ১০৫ নম্বর রুমে থাকতেন চিকিৎসক সাইদ সোহাগ। একই কক্ষে তার ভাগ্নে (বোনের ছেলে) মো. তন্ময়ও থাকতেন। তন্ময় বরিশাল সিটি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র।
তন্ময় পুলিশকে জানিয়েছে , ঘটনার দিন ২৩ জুন রাতে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন সাঈদ সোহাগ। তন্ময় তার সাঈদ সোহাগকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এসময় সাঈদ সোহাগ ধাক্কা দিলে তন্ময়ের হাত কেটে রক্ত ঝরতে থাকে। রক্ত ঝরতে দেখে মোবাইল ও মানিব্যাগ ফেলে দ্রুত সেখান থেকে চলে যান তিনি। এরপর থেকে তার সন্ধান মিলছে না।
এসআই আরাফাত হোসেন জানান, সাঈদ সোহাগের স্বজন ও পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিকবার তিনি কথা বলেছেন। তার সন্ধান পেতে বিভিন্নস্থানে খোঁজ চালানো হয়েছে। এখনও অব্যাহত আছে। আশাকরা যায় দ্রুত সাঈদ সোহাগের সন্ধান পাওয়া যাবে।
Advertisement
সাইফ আমীন/এমএএস/জেআইএম