ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহীনের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহনকারী গাড়িতে তল্লাশি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Advertisement
বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন কর্মচারীর নেতৃত্বে ৮-১০ জন বহিরাগত দেশীয় অস্ত্রসহ অন্তত ৭টি বাসে তল্লাশি চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তল্লাশির সময় বাসে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
রোববার (৩০ জুন) সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী দুখী মাহমুদ কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি শাহীন শৈলকুপা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর রাশিদ আসকারীর সঙ্গে দেখা করেন তারা।
Advertisement
এসময় ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের নেতৃত্বে উপস্থিত নেতাকর্মীরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের স্থায়ী বরখাস্তের দাবি করেন। এছাড়া তারা নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।
প্রতক্ষ্যদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, সকাল ৮টার দিকে ঝিনাইদহ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে গাড়ি ছেড়ে আসে। সকাল ৯টার দিকে গাড়িগুলো কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত দুখী মাহমুদ কলেজের সামনে এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইলিয়াস জোয়ার্দ্দার, রাসেল জোয়ার্দ্দার, মান্নান, আবুল বাশারসহ ৮-১০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অন্তত ৭টি বাসে তল্লাশি চালায়। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
মাসুদ নামের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এভাবে গাড়ি আটকে তল্লাশির ঘটনায় আমাদের শঙ্কিত করে তুলছে। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।’
এদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নীরব ভূমিকা পালনের অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি শাহীন। তিনি বলেন, ‘আমাকে মারার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে তল্লাশি করা হচ্ছে শুনে আমি ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমানকে ফোন করি। তিনি আমাকে বলেন, এটা ক্যাম্পাসের বাইরের ঘটনা। আমার কিছু করার নেই।’
Advertisement
শাহীন আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এর পেছনে নিয়োগ বাণিজ্যের মূল হোতা জড়িত। তাকে ধরলেই সব বের হয়ে যাবে। এ ঘটনার বিচার না হলে আগামীকাল (১ জুলাই) থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে ছাত্রলীগ।’
তবে এ ব্যাপারে ভারপাপ্ত প্রক্টর ড. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনা শুনেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করেছি। তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, এ ঘটনায় যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মচারী জড়িত থাকে তাহলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ/এমবিআর/এমএস