খেলাধুলা

এমন জয়ের পরও আনন্দের বন্যায় ভেসে যায়নি ড্রেসিংরুম!

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় শেষে সাকিব আল হাসান বলে দিলেন, এমন জয়ের সত্যিকার উৎস ছিল আমাদের ড্রেসিং রুম। ৩২২ রানের হিমালয় সমান টার্গেট সামনে থাকার পরও ড্রেসিং রুম ছিল নির্ভার। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আর ভয়ডর ছিল না কারও মাঝে। সবাই কনফিডেন্ট ছিল জয়ের ব্যাপারে। তাই ভালো খেলা এভাবে সহজ হয়েছে।

Advertisement

খেলা শেষে জাগো নিউজের মুখোমুখি হয়ে দলীয় ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের মুখেও একই কথা। জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ বলেন, আমরা আসলে কনফিডেন্ট ছিলাম যে জিতবো। আমাদের লক্ষ্যই ছিল ৩২০-এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আটকে রাখতে পারলে ওই রান টপকে যাওয়া সম্ভব।

সাকিব-লিটনের ভূয়সী প্রশংসা করে ম্যানেজার সুজন বলেন, ‘আমি অগেও বলেছি সাকিব ফর্মের চূড়ায় আছে এবং এবার সে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হবার অন্যতম দাবিদার হবে। সেই ধারায় সে খেলেছে আজ। অসাধারণ, অনবদ্য, দুর্দান্ত- যাই বলা হোক, কম বলা হবে। আর লিটন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে যে আত্মবিশ্বাস, আস্থা আর সাহস নিয়ে ব্যাট করেছে- তা দেখেও আমি মুগ্ধ। তবে শুরুটা ভালো করে দেয়ার জন্য তামিম আর সৌম্যকেও ক্রেডিট দিতে হবে। তারা শুরুটা ভালো করে দিয়েছে। তামিমের দুর্ভাগ্য। দারুণ খেলছিল। রান আউট না হলে নির্ঘাত বড় ইনিংস খেলতো।’

বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলতে পারবে কি পারবে না? তার উত্তর দেবে সময়। তবে এখনকার খবর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে অবিস্মরণীয় জয়ের পরও ড্রেসিং রুমে আনন্দের বন্যা বয়নি। তেমন হইচইও হয়নি।

Advertisement

হ্যাঁ, আনন্দের বহিঃপ্রকাশে করমর্দন আর আলিঙ্গন ছিল। তবে ছিল না বাড়তি উচ্ছ্বাস-আবেগ। এমন জয়ের পর একসময় টাইগারদের ড্রেসিং রুম আকার নিতো উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে। ‘আমরা করবো জয়..., আমরা করবো জয় একদিন...,’- এই গানটা ছিল ড্রেসিং রুমে আনন্দ উদযাপনের মূল হাতিয়ার।

এখন আর তেমন উৎসব হয় না। যত বড় দলের সাথে জয়ের দেখাই মিলুক না কেন, এখন টাইগাররা আর আগের মতো উদ্বেলিত হন না। আজও হলেন না।

খেলা শেষে সে অর্থে সাজঘরে তেমন কিছুই হয়নি। কেক কাটা, মিষ্টি মুখ করা কিছুই না। শুধু বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন আইসিসি হসপিটালিটি বক্স থেকে নেমে ড্রেসিং রুমে গিয়ে ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাদের সাথে খানিক সময়ও কাটান তিনি।

এআরবি/আইএইচএস/বিএ

Advertisement