সিলেটের জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, রাজনীতিক ও পেশাজীবীদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন। মঙ্গলবার উপশহর মোড়ে রোজভিউ হোটেলের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ ইফতার মাহফিল নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
Advertisement
ইফতার মাহফিলে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী, সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মেজবাহ্ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী প্রমুখ অংশ নেন।
ইফতারে আগতদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার। এর আগে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার। এ সময় তিনি সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে কারিগরি সহায়তার আশ্বাস দেন।
সাক্ষাৎকালে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সিলেট নগরকে আধুনিক হিসেবে গড়ে তোলা। এছাড়াও বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলথি সিটি ও এডুকেশন এবং স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, নগরবাসীকে সার্বিক সেবা দিতে নগর এক্সপ্রেস নামের বাস সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। নগরীতে আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে এবং নগরীর শিক্ষার উন্নয়নেও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
Advertisement
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসনের প্রশ্নের জবাবে মেয়র জানান, সিলেটে বিভিন্ন ধর্মের লোকজনের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান। মুসলিম সম্প্রদায় ছাড়া সিলেটে শতকরা ৩০ ভাগ অন্য ধর্মাবলম্বীর নাগরিকও বাস করছেন। তাদের মধ্যে হিন্দু-খ্রিস্টান ছাড়াও আদিবাসীরা রয়েছেন।
সরকারি দলের লোকজনের কাছ থেকে কী ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের ব্যাপারে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনও যথেষ্ট সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিলেটের উন্নয়ন করতে চেষ্টা করছেন।
সাক্ষাৎকালে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী ও প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানসহ সিসিকের কর্মকর্তা ও ব্রিটিশ হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ছামির মাহমুদ/বিএ
Advertisement