সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা আগামীকাল (২৪ মে) অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রশ্নপত্র ছাপার কাজ শুরু হয়েছে। পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রশ্ন পৌঁছে দেয়া হবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
Advertisement
সূত্র জানায়, গত রোববার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) ওয়েবসাইটে প্রথম ধাপের পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র সংযুক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করছেন। প্রথম ধাপে মোট ২৫ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
লিখিত পরীক্ষা প্রধম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১ জেলার ২৪ লাখ এক হাজার ৯১৯ প্রার্থী প্রায় ১২ হাজার পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন জাগো নিউজকে জানান, ২৪ মে প্রথম ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বিতরণের জন্য ১৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। মোট ৯টি প্রশ্নসেট প্রণয়ন করা হবে। এর মধ্যে লটারির মাধ্যমে একটি সেট নির্ধারণ হবে।
Advertisement
সচিব বলেন, প্রশ্নফাঁস রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। এবারের পরীক্ষায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যদি কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁস বা গুজব ছাড়ায় তবে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে। এ জন্য পর্যাপ্ত মনিটরিং বসানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার মাধ্যমে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এ পরীক্ষা চলাকালিন নতুন করে আরও ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে ডিপিইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এবার নিয়োগ পরীক্ষা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে নেয়া হবে। নির্ধারিত জেলায় পরীক্ষার আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে প্রশ্নপত্রের সব সেট পাঠানো হবে। পরীক্ষার দিন সকাল ৮টায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হবে। পৌর এলাকার মধ্যে এবার পরীক্ষা নেয়া হবে। আবেদনকারীর আসন বুয়েট অত্যাধুনিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্ধারণ করবে। একই সঙ্গে আবেদনকারীর আসন বণ্টন অনুযায়ী প্রশ্নের সেট নির্ধারণ করা হবে।
এমএইচএম/এএইচ/জেআইএম
Advertisement