জাতীয়

প্রকল্প ধরে রাখতে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় : পরিকল্পনামন্ত্রী

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঝুলে (পেন্ডিং) থাকা প্রকল্পসহ অনেক প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) কোনো কোনো প্রকল্পে শুধুমাত্র এক লাখ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই টাকায় প্রকল্পগুলোর অগ্রগতির সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্প ধরে রাখার জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে বিস্তারিত তুলে ধরার সময় এ কথা বলেন। সভায় আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রীর কাছে এক সংবাদকর্মী জানতে চান, এডিপির আকার ধীরে ধীরে আগের চেয়ে বাড়লেও রাজনৈতিক চিন্তা থেকেই হোক আর ভোটের কারণেই হোক, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অনেক প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এডিপিতে দেখা যায়, কোনো কোনো প্রকল্পে এক লাখ টাকা বরাদ্দ। আগামী অর্থবছর হয়তো কিছু বরাদ্দ বাড়বে। এভাবে দেখা যাবে, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু প্রকল্পের গতি আসছে না। যেসব প্রকল্পে মাত্র এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে, সেসব প্রকল্প পাস করার দরকার কী ছিল?

এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী প্রকল্প ধরার রাখার কথা জানান। মন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, আমরা নির্বাচনের আগে অনেক প্রকল্প পাস করেছি। কারণ আপনারা জানেন, ওই সময় একটা বিধিবিধান ছিল, তফসিল ঘোষণার পর আমরা কোনো প্রকল্প অনুমোদন দিতে পারব না। তফসিল ঘোষণা হয়েছিল প্রায় নির্বাচনের দুই থেকে আড়াই মাস আগে। আমাদের উন্নয়ন থেমে থাকতে পারে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, উন্নয়ন কোনো সময়ই থেমে থাকতে পারে না। এ জন্য আমরা নির্বাচনে যাওয়ার আগের মুহূর্তে পেন্ডিং কাজ আমাদের কাছে যা ছিল, সেগুলো অনুমোদন দিয়ে রেখেছি।

Advertisement

এনইসি সভা সূত্র জানায়, সভায় বেশকিছু বিষয় অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে বরাদ্দহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প ১ হাজার ৪৬টি, বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থ প্রাপ্তির সুবিধার্থে বরাদ্দহীন অননুমোদিত প্রকল্প ২৪২টি, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের প্রকল্পটি ৬২টি, চলতি বছরের জুনে মেয়াদোত্তীর্ণ প্রকল্প ২৭২টি।

পিডি/এমএসএইচ/পিআর