দেশজুড়ে

ফাঁড়া কাটিয়ে দেশসেরা রাজশাহী

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই বেড়েছে। আর পাসের হারে এ বোর্ডই এবার সেরা। ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ হারে এ বছর পাস করেছে এক লাখ ৮৬ হাজার ৮২৮ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ হাজার ৭৯৫ জন।

Advertisement

গত বছর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। গত সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পাসের হার ছিল সেটি। এবার সেখান থেকে উঠে এসেছে রাজশাহী বোর্ড।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানান বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আনারুল হক প্রমানিক।

শিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, এ বছর সবমিলিয়ে পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৪ হাজার ৮৩৫ জন। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৮৬ হাজার ৮২৮ জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ হাজার ৭৯৫ জন। এবার বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ৫৯২ জন পরীক্ষার্থী।

Advertisement

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর ৯২ দশমিক ৯৬ শতাংশ ছাত্রী এবং ৯০ দশমিক ৪৪ শতাংশ ছাত্র পাস করেছে। মোট জিপিএ-৫ ২২ হাজার ৭৯৫ জন। এর মধ্যে ১১ হাজার ৬৮৬ জন ছাত্রী এবং ১১ হাজার ১০৯ জন ছাত্র।

এবার নিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ৮০ হাজার ৫০১ জন। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৭৪৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ হাজার ৬৯০ জন। নিয়মিত পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ৫৯২ জন।

এদিকে এবার শতভাগ পাসের বিদ্যালয় রয়েছে গত বারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন। এ বছর রাজশাহী বোর্ডে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে এমন বিদ্যালয় রয়েছে ৪৩১টি। গত বছর তা ছিল ২০৬টি।

এ বছর বোর্ডে একমাত্র জেলার পবা উপজেলার বাগসাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কোনো পরীক্ষার্থী পাস করেনি। এ বিদ্যালয় থেকে মাত্র ৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। গত বছরও শূন্য পাশের বিদ্যালয় ছিল একটি।

Advertisement

ফলাফল সার্বিকভাবে ভালো হয়েছে দাবি করে এতে সন্তোষ প্রকাশ করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আনারুল হক প্রামানিক। তিনি বলেন, ফলাফল সার্বিকভাবে ভালো হয়েছে। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, এবার সবচেয়ে বেশি অকৃতকার্য হয়েছে গণিতে। এছাড়া বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়েও অকৃতকার্য হয়েছে শিক্ষার্থীরা।

উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ বলেন, সবার অক্লান্ত পরিশ্রমে ফল ভালো হয়েছে। শিক্ষক ও অভিভাবকদের সহায়তা ও আন্তরিকতায় শিক্ষার্থীদের সফল হতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এফএ/এমকেএইচ