ঘূর্ণিঝড়ের সীমাহীন তুফান ও জলোচ্ছ্বাস, বজ্রপাতের প্রচণ্ড গর্জন এবং আলোর ঝলকানি মহান আল্লাহ তাআলার মহাশক্তির বহিঃপ্রকাশ। ঘূর্ণিঝড়, তুফান এবং প্রচণ্ড গতিতে বাতাসের তাণ্ডবসহ অতিবৃষ্টি, বজ্রপাতের গর্জন ও আলোর ঝলকানি মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ সতর্কবাণী।
Advertisement
এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা বেড়ে গেলে ঘরে ঘরে আজান দেয়ার প্রচলন দেখা যায়। ঘরের মুরব্বিরা নিজের আজান দেন অনেক সময় অন্যকে আজান দিতে বলেন।
আসলেই কি ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে আজান দেয়া যাবে কি?
হ্যাঁ, ঘূর্ণিঝড়, তুফানসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে আজান দেয়া যাবে। কেননা আল্লাহর ফেরেশতারা দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে আল্লাহ তাআলার ভয়ে তাসবিহ পড়তে থাকে বলে কুরআনে ঘোষণা করেন। আবার মেঘের গর্জনও মহান আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করে থাকে। আল্লাহ তাআলা বলেন-‘মেঘের গর্জন তাঁর প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করে এবং ফেরেশতারা তাঁর ভয়ে প্রকম্পিত হয়ে তাসবিহ পাঠ করে; তিনি বজ্রপাত করেন এবং (অনেক সময়) তাকে যার ওপর চান, ঠিক সে যখন আল্লাহ সম্পর্কে বিতণ্ডায় লিপ্ত তখনই নিক্ষেপ করেন। অথচ আল্লাহ তাআলার শক্তি কৌশল ও শক্তি বড়ই জবরদস্ত।’ (সুরা রা’দ : আয়াত ১৩)
Advertisement
যদিও নামাজের জন্য আজান দেয়া সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ। আর সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে আজান দেয়া তথা আল্লাহর তাসবিহ ঘোষণা মোস্তাহাব আমল বলে উল্লেখ করেছেন ওলামায়ে কেরাম।
তাই সমাজের লোকজন প্রচণ্ড প্রাকৃতিক দুর্যোগে যে আজান দেন তা ইসলামি শরিয়ত বিরোধী নয়। এ সময় আজান দিলে তাতে কোনো সমস্যা নেই।
তাছাড়া এসব দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্ত থেকে বাঁচতে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক নসিহত পেশ করেছেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও আশ্রয় লাভে দোয়া করতে বলেছেন।
আল্লাহ তাআলা চাইলে এসব দুর্যোগের মাধ্যমে তাঁর অবাধ্য সীমালঙ্ঘনকারী বান্দাদেরকে শাস্তি প্রদান করতে পারেন। যদিও আল্লাহ তাআলা সব সময় তাঁর বান্দাদের প্রতি শাস্তিদানের মতো কঠোর আচরণ করেন না। কেননা আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য রাহমান, রাহিম; গাফুর ও গাফ্ফার।
Advertisement
আরও পড়ুন > ঘূর্ণিঝড়ে যে দোয়া পড়বেন
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার যাবতীয় দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে তার একান্ত রহমতের চাদরে ঢেকে দিন। সব বিপদ থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম