দাখিল পরীক্ষার ফল জানা হলো না কামরুন নাহারের। মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমাতে হলো তাকে। তিনি শরীয়তপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের স্বর্ণঘোষ গ্রামের হাফীজ উদ্দিন সরদার ও মাসুদা বেগম দম্পতির মেয়ে। তিনি এ বছর শরীয়তপুর ইসলামীয়া বালিকা দাখিল মাদরাসা থেকে পরীক্ষা দিয়েছে।
Advertisement
পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, গত ১১ এপ্রিল হঠাৎ করে কামরুন নাহারের জ্বর হয়। জ্বর ক্রমশই বাড়তে থাকলে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শরীরের অবস্থার অবনতি হতে থাকলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৭ এপ্রিল তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানকার ডাক্তার তাকে পরীক্ষা করে দেখেন তার লিভার ক্যান্সার হয়েছে। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ওইদিন সন্ধ্যার পর বয়াতি বাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদে জানাজা শেষে স্বর্ণঘোষ-চরস্বর্ণঘোষ গণ কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
কামরুন নাহারের বাবা হাফীজ উদ্দিন সরদার জানান, তিনি রিকসাচালক। মাঝে মাঝে বাবুর্চির কাজ করেন। তার চার মেয়ে এক ছেলে। খুব কষ্ট করে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। কষ্টে সংসার চলে তার। সেজ মেয়ে কামরুন নাহার খুব মেধাবি ছিল। তাই তাকেই মাদরাসায় ভর্তি করেন তিনি।
তিনি জানান, কামরুনের ইচ্ছে ছিল লেখাপড়া করে পুলিশের চাকরি করবে। অসহায় ও গরিবদের সহযোগিতা করবে।
Advertisement
সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. মাহাবুর রহমান শেখ জাগো নিউজকে বলেন, কামরুন নাহারের পরিবার যেহেতু গরিব যতটুকু সম্ভব সাহায্য করবো।
ছগির হোসেন/এমএএস/এমকেএইচ