ফিচার

ভোক্তা অধিকারে কোন অপরাধে কী সাজা

প্রত্যেক ভোক্তাই তার জীবন ও কাজের নিরাপত্তার জন্য যথোপযুক্ত ও নিরাপদ পণ্য বা সেবা পাওয়ার অধিকার রাখে। এ জন্য ২০০৯ সালে ভোক্তাদের অধিকার আদায়ে গঠন করা হয়েছে ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন’। তাই আগে জানতে হবে, কোন ধরনের অপরাধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করা যাবে। এছাড়া আইন লঙ্ঘন হলে কী সাজা রয়েছে- তা সবারই জানা দরকার।

Advertisement

ভোক্তা কারা: কোন পণ্য বা সেবা যিনি ভোগ করেন বা ভোগের উদ্দেশে কিনে নেন, তিনিই ভোক্তা। ভোগের এসব বস্তু অবশ্যই নিরাপদ ও নির্ভেজাল হতে হবে।

ভোক্তার অধিকার: জীবনের নিরাপত্তা বা কাজের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে পাওয়ার অধিকার রয়েছে ভোক্তার। এমনকী সেসব পণ্য বা সেবা সঠিক মানে, সঠিক মাপে পাওয়ার অধিকার তার রয়েছে। এছাড়া পণ্য বা সেবার নির্ধারিত মূল্য বা বিনিময়ে সে পণ্য বা সেবা পাওয়াও ভোক্তার অধিকারের মধ্যে পড়ে। তাই পণ্যের উপাদান, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, বিক্রয়মূল্য, কার্যকারিতা জানার অধিকারও তার রয়েছে।

কখন অভিযোগ করবেন: ভোক্তার অধিকারের যে কোন একটির ব্যত্যয় ঘটলে, সে পণ্য বা সেবাদানকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করার অধিকার তার রয়েছে। এ অধিকারও তিনি সহজাতভাবেই ভোগ করবেন। সর্বোপরি কোন পণ্য বা সেবা ব্যবহারের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার ক্ষতিপূরণ পাওয়াও ভোক্তার একান্ত অধিকার।

Advertisement

> আরও পড়ুন- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে চাইলে

অভিযোগকারী: ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ২ (৩) অনুযায়ী কোন ভোক্তা; একই স্বার্থসংশ্লিষ্ট এক বা একাধিক ভোক্তা; কোন আইনের অধীন নিবন্ধিত কোন ভোক্তা সংস্থা; জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বা তার পক্ষে অভিযোগ দায়েরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা; সরকার বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন সরকারি কর্মকর্তা; সংশ্লিষ্ট পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী।

যার কাছে অভিযোগ: ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৭৬ (১) অনুযায়ী, ‘যে কোন ব্যক্তি, সাধারণভাবে একজন ভোক্তা হতে পারেন। এ অধ্যাদেশের অধীন ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কাজ সম্পর্কে মহাপরিচালক বা মহাপরিচালকের কাছে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবহিত করে লিখিত অভিযোগ করতে পারবেন।’

যেভাবে অভিযোগ করবেন:

Advertisement

১. দায়েরকৃত অভিযোগ অবশ্যই লিখিত হতে হবে২. ফ্যাক্স, ই-মেইল, ওয়েবসাইট ইত্যাদি ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে৩. অন্য কোন উপায়ে৪. অভিযোগের সাথে পণ্য বা সেবা ক্রয়ের রশিদ সংযুক্ত করতে হবে৫. অভিযোগকারীর পূর্ণাঙ্গ নাম, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা, ফোন, ফ্যাক্স ও ই-মেইল নম্বর (যদি থাকে) এবং পেশা উল্লেখ করবেন।

> আরও পড়ুন- পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কী করবেন

যেখানে অভিযোগ করবেন:

• মহাপরিচালক, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, ১ কারওয়ান বাজার (টিসিবি ভবন-৮ম তলা), ঢাকা, ফোন: +৮৮০২ ৮১৮৯৪২৫

• জাতীয় ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র, টিসিবি ভবন- ৯ম তলা, ১ কারওয়ান বাজার ঢাকা, ফোন: ০১৭৭৭ ৭৫৩৬৬৮, ই-মেইল: nccc@dncrp.gov.bd

• উপপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, টিসিবি ভবন, বন্দরটিলা, চট্টগ্রাম, ফোন: ০৩১-৭৪১২১২

• উপপরিচালক, রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, শ্রীরামপুর, রাজশাহী, ফোন: +৮৮০৭ ২১৭৭২৭৭৪

• উপপরিচালক, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, টিসিবি ভবন, শিববাড়ী মোড়, খুলনা, ফোন: ০৪১-৭২২৩১১

• উপপরিচালক, বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, মহিলা ক্লাব ভবন, বরিশাল, ফোন: +৮৮০৪ ৩১৬২০৪২

• উপপরিচালক, সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, সিলেট ফোন: ০৮২১-৮৪০৮৮৪

• উপপরিচালক, রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়া, রংপুর, ফোন: ০৫২১-৫৫৬৯১

• প্রত্যেক জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট

> আরও পড়ুন- ভিসা জালিয়াতির শিকার হলে যা করবেন

কোন অপরাধে কী সাজা

এসইউ/এমকেএইচ